রামসাগর জাতীয় উদ্যান | |
---|---|
![]() | |
অবস্থান | দিনাজপুর, রংপুর বিভাগ, বাংলাদেশ |
নিকটবর্তী শহর | দিনাজপুর |
স্থানাঙ্ক | ২৫°৩৩′১৬″ উত্তর ৮৮°৩৭′২৬″ পূর্ব / ২৫.৫৫৪৩৭৬° উত্তর ৮৮.৬২৩৮৯২° পূর্ব |
আয়তন | ২২.৭৫ হেক্টর |
স্থাপিত | ২০০১ |
রামসাগর জাতীয় উদ্যান বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়নর তাজপুর গ্রামে অবস্থিত একটি জাতীয় উদ্যান। এটি দিনাজপুর সদর থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে রামসাগর দিঘিকে ঘিরে অবস্থিত। ১৯৬০ সালে রামসাগর বাংলাদেশের বন বিভাগের তত্ত্বাবধানে আনা হয়। ১৯৯৫-৯৬ সালে রামসাগরকে আধুনিক পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হয় এবং ২০০১ খ্রিষ্টাব্দের ৩০ এপ্রিল একে জাতীয় উদ্যান হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হয়।
রামসাগর দিঘি
[সম্পাদনা]রামসাগর উদ্যানের প্রধান আকর্ষণ হলো বিশাল রামসাগর দিঘি। তটভূমিসহ রামসাগরের আয়তন ৪,৩৭,৪৯২ মিটার, দৈর্ঘ্য ১,০৩১ মিটার ও প্রস্থ ৩৬৪ মিটার। গভীরতা গড়ে প্রায় ১০ মিটার। পাড়ের উচ্চতা ১৩.৫ মিটার। দিনাজপুরের বিখ্যাত রাজা রামনাথ (রাজত্বকাল: ১৭২২-১৭৬০ খ্রিষ্টাব্দ) পলাশীর যুদ্ধের আগে (১৭৫০-১৭৫৫ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে) এই রামসাগর দিঘি খনন করেছিলেন। তারই নামানুসারে এর নামকরণ করা হয় রামসাগর। দিঘিটি খনন করতে তৎকালীন প্রায় ৩০,০০০ টাকা এবং ১৫,০০,০০০ শ্রমিকের প্রয়োজন হয়েছিল।
বিবরণ
[সম্পাদনা]এই জাতীয় উদ্যানে রয়েছে ৭টি পিকনিক কর্নার। সেখানে আছে ২টি টয়লেট, ১টি ক্যাফেটেরিয়া, আছে শিশুপার্ক। এছাড়া সেখানে আছে কিছু হরিণ। অজগর সাপ আছে দু-তিনটি, বানর আছে কয়েকটি, মুখপোড়া হনুমান আছে একটি, ময়ূর আছে একটি। এই উদ্যানে প্রবেশের জন্য রয়েছে টিকিটের ব্যবস্থা।টিকিটের মূল্য ২০ টাকা। এছাড়াও আছে ব্যক্তিগত উদ্যোগে ২০১০ খ্রিষ্টাব্দের ১০ অক্টোবর (১০-১০-'১০) গড়ে তোলা রামসাগর গ্রন্থাগার নামে ৮ শতাধিক বইয়ের সংগ্রহ নিয়ে একটি অনুমোদনহীন পাঠাগার।
স্থানীয় প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অলক্ষে এই উদ্যানটি সন্ত্রাসী এবং মাদকসেবীদের অনৈতিক ও অসামাজিক কার্যকলাপ ও মাদকব্যবসায়ের স্থান হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। কখনও কখনও তারা পর্যটকদেরও হয়রানিও করে থাকে। এছাড়া পিকনিক কর্নারগুলোও অযত্ন অবহেলায় ভঙ্গুর, অরক্ষিত এবং প্রায় ব্যবহার-অযোগ্য।
চিত্রশালা
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]

- রামসাগর, দিনাজপুর জেলা তথ্য বাতায়ন-এ রামসাগর জাতীয় উদ্যান পরিচিতি।