সুন্দরবন



সুন্দরবন পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন বা লবণাক্ত বনাঞ্চল। সুন্দরবনের মোট আয়তন প্রায় ১০ হাজার বর্গ কিলোমিটার, যা যৌথভাবে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অবস্থিত। সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশের আয়তন ৬,৫১৭ বর্গ কিলোমিটার। খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পটুয়াখালি ও বরগুনা জেলার অংশ নিয়েই বাংলাদেশের সুন্দরবন। প্রাকৃতিক সম্পদের ভান্ডার হিসেবে সুন্দরবন বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এখান থেকে সংগৃহীত হয় নানা ধরনের কাঠ মধু মম ও মৎস্য। ভারতের সুন্দরবন পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলাউত্তর ২৪ পরগণা জেলা নিয়ে এই সুন্দরবন।

জীববৈচিত্রে সমৃদ্ধ সুন্দরবনের ১,৮৭৪ বর্গকিলোমিটার জুড়ে রয়েছে নদীনালা ও বিল মিলিয়ে জলাকীর্ণ অঞ্চল। রয়েল বেঙ্গল টাইগার সহ বিচিত্র নানান ধরণের পাখি, চিত্রা হরিণ,মায়া হরিণ ,বন্য শূকর,বানর, বনবিড়াল, সজারু,কুমির ও সাপসহ অসংখ্য প্রজাতির প্রাণীর আবাসস্থল হিসেবে সুন্দরবন পরিচিত। এখানে রয়েছে প্রায় ৩৫০ প্রজাতির উদ্ভিদ, ১২০ প্রজাতির মাছ, ২৭০ প্রাজাতির পাখি, ৪২ প্রজাতির স্তন্যপায়ী, ৩৫ সরীসৃপ এবং ৮ টি উভচর প্রাণী। সুন্দরবনে যেসব উদ্ভিদ জন্মে এর মধ্যে সুন্দরী,কেওড়া, গোলপাতা, গেওয়া,গরান,বাইন, ধুন্দুল, পশুর, প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।সুন্দরী বৃক্ষের নামানুসারে এই বনের নাম সুন্দরবন রাখা হয়। সুন্দরবনের ভেতরে যেতে হলে নৌপথই একমাত্র উপায়। শীতকাল সুন্দরবন ভ্রমণের উপযুক্ত সময়।১৯৯৭ সালে ইউনেস্কো সুন্দরবনকে বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করে।

অঞ্চল

[সম্পাদনা]
সুন্দরবন বিশ্বের একক বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ অরণ্য।
  • সুন্দরবন দক্ষিণ বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য, বাংলাদেশ
  • সুন্দরবনের পূর্ব বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য, বাংলাদেশ
  • সুন্দরবন পশ্চিম বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য, বাংলাদেশ
  • সুন্দরবন জাতীয় উদ্যান, পশ্চিমবঙ্গ

দর্শনীয় স্থান

[সম্পাদনা]

কলকাতা থেকে সুন্দরবন পরিদর্শন করার জন্য, নিম্নলিখিত স্থানগুলি নির্বাচন করা উচিত:

  • 1 জামতলা সমুদ্র সৈকত জামতলায় একটি পর্যবেক্ষণ টাওয়ার রয়েছে, এই টাওয়ার থেকে সুন্দরবনের সৌন্দর্য্যের কিছুটা অংশে একসাথে চোখ বুলানো যায়। আর ভাগ্য ভাল থাকলে এখান থেকে হরিণ কিংবা বাঘের দেখা পাওয়া যেতে পারে।
  • 2 মান্দারবাড়িয়া সৈকত মান্দারবাড়িয়া সমুদ্র সৈকতের কিছুটা অংশ এখনো অনাবিষ্কৃত বলে মনে করা হয়। এখান থেকে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত দেখা যায়। উইকিপিডিয়ায় মান্দারবাড়িয়া সমুদ্র সৈকত (Q55232250)
  • 3 হিরণ পয়েন্ট হিরণ পয়েন্টের কাঠের তৈরি সুন্দর রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে হরিণ, বানর, গুইসাপ ও কুমির দেখা পাওয়া যায়। এখানেও মাঝে মাঝে বেঙ্গল টাইগারের দেখা মিলে। উইকিপিডিয়ায় হিরণ পয়েন্ট (Q16347046)
  • 4 দুবলার চর সুন্দরবন এলাকার মধ্যে ছোট্ট একটি চর হচ্ছে দুবলার চর। দুবলার চরের মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া নদী গিয়ে মিশেছে বঙ্গোপসাগরে। উইকিপিডিয়ায় দুবলার চর (Q5310789)
  • 5 কটকা সমুদ্র সৈকত (কটকা সী বিচ)। কটকা সমুদ্র সৈকত অত্যন্ত পরিচ্ছন্ন ও সুন্দর। এখানে বেলাভূমি জুড়ে আঁকা থাকে লাল কাঁকড়াদের শিল্পকর্ম। উইকিপিডিয়ায় কটকা সমুদ্র সৈকত (Q55232156)
  • 6 হাড়বাড়িয়া ইকো-পর্যটন কেন্দ্র, চাঁদপাই রেঞ্জ, সুন্দরবন, বাগেরহাট খুলনা থেকে ৭০ কিলোমিটার এবং মংলা বন্দর থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরে এই কেন্দ্রে অবস্থান। দেশি পর্যটক ৳ ৭০, বিদেশি পর্যটক ৳ ১০০০
  • করমজল পর্যটন কেন্দ্র (মংলা সমুদ্র বন্দর থেকে প্রায় আট কিলোমিটার দূরে)। বন বিভাগের তত্ত্বাবধানে পর্যটন কেন্দ্রটি গড়ে তোলা হয়েছে। এখানে রয়েছে কুমির, হরিণ, রেসাস বানরসহ নানা প্রজাতির পশুপাখি। এছাড়াও রয়েছে কাঠের নির্মিত ট্রেইল এবং টাওয়ার। জেলেদের মাছ ধরার কর্মজজ্ঞ এই পর্যটন কেন্দ্রে অতিরিক্ত প্রাপ্তি। বাংলাদেশের একমাত্র কুমিরের প্রাকৃতিক প্রজনন কেন্দ্রটি করমজলে অবস্থিত। বাংলাদেশি ও বিদেশি পর্যটকের জন্য করমজল পর্যটন কেন্দ্রে প্রবেশ মূল্য যথাক্রমে ৪৬ টাকা এবং ৫৭৫ টাকা। বাংলাদেশি ছাত্র ও গবেষকরা ৫০ ও ৫৭ টাকার বিনিময়ে প্রবেশ করতে পারেন। অবশ্য বিদেশি গবেষকদের করমজলে প্রবেশের জন্য ৯২০ টাকা দিতে হয়। বারো বছরের নিচে যেকেউ করমজলে প্রবেশ করতে ২৩ টাকার টিকেট কাটতে হবে। ভিডিও ক্যামেরা নিয়ে প্রবেশের জন্য এখানে ক্যামেরাপ্রতি অতিরিক্ত টাকা দিতে হয়। বাংলাদেশীদের জন্য এই চার্জ ৩৪৫ টাকা এবং বিদেশি জন্য ৫৭৫ টাকা। দেহরক্ষী হিসেবে একজন গান ম্যান নিলে ৫৭৫ টাকা দিতে হয়।

যাতায়াত

[সম্পাদনা]

ঢাকা থেকে (বাংলাদেশের অংশ)

ঢাকা থেকে সরাসরি খুলনা যাওয়ার বাস, ট্রেন এবং লঞ্চ ব্যবস্থা রয়েছে। ঢাকা থেকে সোহাগ, হানিফ ও ঈগল পরিবহনের বাস নিয়মিতভাবে ভোর ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত খুলনার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। ঢাকা থেকে সড়ক পথে খুলনা যেতে প্রায় ৮ ঘণ্টা লাগে। ঢাকার সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল থেকে খুলনা যাবার বিভিন্ন কোম্পানির লঞ্চ রয়েছে। খুলনা থেকে সুন্দরবন দেখতে হলে ৫০ কিলোমিটার দূরে মংলায় যেতে হবে। খুলনা থেকে মংলা যাওয়ার প্রাইভেট গাড়ি ও বাস রয়েছে। মংলা ঘাট থেকে ট্রলার কিংবা লঞ্চ ভাড়া নিয়ে দুই ঘণ্টায় সুন্দরবনের করমজল যাওয়া যায়। চাইলে সকাল বেলা খুলনা থেকে মংলা হয়ে সুন্দরবন দেখে সন্ধ্যায় খুলনা ফিরে আসা যাবে।

তবে সুন্দরবন দেখতে যাওয়ার সবচেয়ে সুবিধাজনক উপায় হচ্ছে কোন ভাল ট্যুর কোম্পানির প্যাকেজ নিয়ে ঘুরতে যাওয়া। এমন কয়েকটি ট্যুর কোম্পানির নাম ও ফোন নাম্বার হচ্ছে:

  • ডিঙি ও ভেলা ভেসেলের বেঙ্গল ট্যুরস লি. হলিডেস ট্যুর ফোন- ০১৫৫২৫৫৫৫৫০
  • দি গাইড ট্যুরস লি. ফোন-০১৭১১৫৪০৪৩১
  • রূপান্তর ইকো ট্যুরিজম লি. ফোন-০১৭১১৮২৯৪১৪
  • সিলভার ওয়েভ, ফোন- ০১৭১৩৪৫৩১৩৭
  • বর্ষা ট্যুরিজম, ফোন ০১৭১৫২৫১৯৬৩
  • সুন্দরবন ওয়ার্ন্ডার্স এন্ড এডভেঞ্চার্স লিমিটেড, ফোন ০১৭১১৪৩৯৫৫৭
  • রয়েল গন্ডোলা ভেসেলের রয়াল ট্যুর, ফোন ০১৭১১২৯৫৭৩৮

কলকাতা থেকে (ভারতের অংশ)

সুন্দরবন ভারতীয় রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ-পূর্ব সীমান্তে অবস্থিত। সুন্দরবনের ভারতীয় অংশের আবাসস্থল ভালভাবে রাস্তাঘাট ও রেলপথ উভয় দ্বারা কলকাতার সঙ্গে সংযুক্ত।

গোদখালী পোর্ট- এটি গোসাবা দ্বীপ এবং গোসাবার বিপরীতে সংরক্ষিত সুন্দরবনের সজনেখালি অভ্যয়ারণ্য এবং সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্প এলাকায় প্রবেশের আগে শেষ মনুষ্য বসতি। কলকাতার থেকে গোথখালী পোর্টের দূরত্ব কমপক্ষে ৮২ কিলোমিটার এবং কলকাতার বিমানবন্দর (নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বোস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর) থেকে 95 কিলোমিটার।

কৈখালী - সুন্দরবনের সংরক্ষিত বনভূমির বনানী ক্যাম্প, কালাস আইল্যান্ড এবং সমুদ্র সৈকত, হলিডে দ্বীপ, হলিডে বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য ইত্যাদির মতো পর্যটক আকর্ষণ রয়েছে কৈখালীর কাছাকাছি। কৈখালী কলকাতা থেকে ৮৩ কিলোমিটার এবং কলকাতার বিমানবন্দর থেকে ৯২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।

নামখানা- কলকাতা থেকে ১১৭ কিমি এবং কলকাতা বিমানবন্দর থেকে ১২৩ কিমি দূরে অবস্থিত। নামখানাও কলকাতা থেকে রেললাইনের সাথে সংযুক্ত এবং দূরত্ব ১০৯ কিলোমিটার। এখানে ভাগবতপুর কুমির প্রকল্প এবং সুন্দরবনের লোথিয়ান বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য রয়েছে।

ক্যানিং- সুন্দরবনের বাঘ প্রকল্পের নিকটতম রেলওয়ে স্টেশন। কলকাতা থেকে কানিং পর্যন্ত রেলপথের দূরত্ব ৪৫ কিলোমিটার এবং গোদখালী পোর্ট থেকে ২৯ কিলোমিটার দূরে। কানিং এবং গোদখালী পোর্টের মধ্যে গণ পরিবহন ব্যবস্থা পাওয়া যায়।

খরচাদি

[সম্পাদনা]
  • অভয়ারণ্য এলাকায় দেশি পর্যটকদের জন্য প্রতিদিনের জনপ্রতি ভ্রমণ ফি – ১৫০ টাকা, ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য – ৩০ টাকা, বিদেশি পর্যটকদের জন্য ভ্রমণ ফি – ১৫০০ টাকা। অভয়ারণ্যের বাইরে দেশি পর্যটকদের ভ্রমণ ফি – ৭০ টাকা, ছাত্র-ছাত্রী- ২০ টাকা, বিদেশিদের জন্য ভ্রমণ ফি – ১০০০ টাকা ও গবেষকদের জন্য ভ্রমণ ফি – ৪০ টাকা। করমজলে দেশি পর্যটকদের জন্য ভ্রমণ ফি জনপ্রতি ২০ টাকা, বিদেশিদের জন্য ৩০০ টাকা।
  • হেলিকপ্টার/সী প্লেনের জন্য এককালীন ফি লাগে ৩০ হাজার টাকা, নবায়ন করতে ফি দিতে হয় ১০ হাজার টাকা। ১০০ ফুটের ঊর্ধ্বে লঞ্চের জন্য দিতে হয় ১৫ হাজার টাকা, নবায়ন ফি দিতে হয় চার হাজার টাকা। ৫০ ফুট থেকে ১০০ ফুট লঞ্চের জন্য এককালীন ১০ হাজার টাকা দিতে হয় আর নবায়ন ফি লাগে তিন হাজার টাকা। ৫০ ফুটের নিচে নৌযানের জন্য সাড়ে সাত হাজার টাকা ও এদের জন্য নবায়ন ফি লাগে আড়াই হাজার টাকা। সাধারণ ট্রলার তিন হাজার টাকা ফি-তে সুন্দরবন অবস্থান করতে পারে, এদের নবায়ন ফি – ১৫০০ টাকা। স্পিডবোটের জন্য ফি দিতে হয় পাঁচ হাজার টাকা, নবায়ন করতে লাগে দুই হাজার টাকা। জালিবোট যেগুলো ট্যুরিস্ট বোট হিসাবে খ্যাত সেগুলোর জন্য এককালীন ফি দিতে হয় দুই হাজার টাকা ও নবায়ন ফি এক হাজার টাকা লাগে।
  • বন বিভাগের ভ্রমণ ফি ছাড়াও অন্যান্য খরচের মধ্যে রয়েছে প্রতিদিন গাইডের জন্য ফি ৫০০ টাকা, নিরাপত্তা গার্ডদের জন্য ফি ৩০০ টাকা, লঞ্চের ক্রূর জন্য ফি ৭০ টাকা, টেলিকমিউনিকেশন ফি ২০০ টাকা। ভিডিও ক্যামেরা বাবদ দেশি পর্যটকদের ফি দিতে হয় ২০০ টাকা এবং বিদেশি পর্যটকদের ফি দিতে হয় ৩০০ টাকা।
  • সুন্দরবনে রাস পূর্ণিমার সময় তীর্থযাত্রীদের ৩ দিনের জন্য জনপ্রতি ফি দিতে হয় ৫০ টাকা, নিবন্ধনকৃত ট্রলার ফি ২০০ টাকা, অনিবন্ধনকৃত ট্রলারের ফি ৮০০ টাকা এবং প্রতিদিন অবস্থানের জন্য ট্রলারের ফি ২০০ টাকা।

রাত্রিযাপন

[সম্পাদনা]

সুন্দরবনের টাইগার পয়েন্টের কচিখালী, হিরণপয়েন্টের নীলকমল এবং কাটকায় বন বিভাগের রেস্টহাউজে থাকার জন্য ব্যবস্থা রয়েছে। নীলকমলে থাকতে চাইলে দেশি পর্যটকদের প্রতি কক্ষের জন্য তিন হাজার টাকা লাগবে আর বিদেশিদের জন্য পাঁচ হাজার টাকা। কচিখালী প্রতি কক্ষের জন্য লাগবে তিন হাজার টাকা আর বিদেশিদের জন্য লাগবে পাঁচ হাজার টাকা। কটকাতে প্রতি কক্ষ নিতে দুই হাজার টাকা লাগবে এবং বিদেশিদের জন্য রুম প্রতি পাঁচ হাজার টাকা লাগবে।

বাগেরহাটে থাকার জন্য তেমন আবাসিক হোটেল ব্যবস্থা নেই। রেল রোডে মমতাজ হোটেলে সুযোগ সুবিধা কম থাকলেও সেবার মান তুলনামূলক ভাল, তবে খরচ একটু বেশি।

মংলায় থাকার জন্যে পর্যটন কর্পোরেশনের হোটেল আছে। পশুর বন্দরে পর্যটকদের থাকার জন্য কিছু সাধারণ মানের হোটেল আছে।

সাতক্ষীরা শহরে থাকতে চাইলে এখানে কিছু সাধারণ মানের হোটেল পাওয়া যাবে। শ্যামনগরের মুন্সিগঞ্জে এনজিও সুশীলনের রেস্টহাউস ও ডরমেটরিতে রাত্রি যাপনের ব্যবস্থা রয়েছে।

খুলনা নগরীতে বিভিন্ন মানের আবাসিক হোটেলের মধ্যে হোটেল রয়েল, ক্যাসেল সালাম, হোটেল টাইগার গার্ডেন, হোটেল ওয়েস্ট ইন্, হোটেল সিটি ইন, হোটেল মিলিনিয়াম ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।

  • হোটেল বিসমিল্লাহ (আবাসিক), উপজেলা কয়রা, খুলনা।, +৮৮০১৯১৯-৮৯৯৩৯৪
  • সি এস এস রেষ্ট হাউজ, রূপসা স্ট্যান্ড রোড, খুলনা, +৮৮০৪১৭২২৩৫৫
  • দিয়াপুর, সজেনখালী (সুরঞ্জনা রিসর্ট), দিয়াপুর, বিপরীত দিকে সাজনেখালি ফরেস্ট অফিস (গোদখালী থেকে নৌকায় দুই ঘণ্টা), +৮৮০ ৯১৬৩৯১৪৪৭৩, ইমেইল: ₹৪,২০০