যমুনা সেতু | |
---|---|
![]() | |
স্থানাঙ্ক | ২৪°২৩′৫৫″ উত্তর ৮৯°৪৬′৪২″ পূর্ব / ২৪.৩৯৮৬১° উত্তর ৮৯.৭৭৮৩৩° পূর্ব |
অতিক্রম করে | যমুনা নদী |
স্থান | সিরাজগঞ্জ ও টাঙ্গাইল |
রক্ষণাবেক্ষক | বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ |
বৈশিষ্ট্য | |
নকশা | সড়ক ও রেল সেতু |
মোট দৈর্ঘ্য | ৪.৮ কিমি |
প্রস্থ | ১৮.৫ মিটার |
দীর্ঘতম স্প্যান | ১০০ মিটার |
ইতিহাস | |
নির্মাণকারী | হুন্দাই |
নির্মাণ শুরু | ১৯৯৪ |
নির্মাণ শেষ | ১৯৯৮ |
চালু | জুন, ১৯৯৮ |
অবস্থান | |
![]() |

যমুনা বহুমুখী সেতু বাংলাদেশের যমুনা নদীর উপরে অবস্থিত একটি সড়ক ও রেল সেতু। ৪.৮ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট এই সেতুটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় দীর্ঘতম সেতু। ১৯৯৮ সালে এর নির্মাণ কাজ শেষ হয়। পরবর্তীতে এই সেতুর নামকরণ করা হয় বঙ্গবন্ধু সেতু যেটা ৫ আগস্ট ২০২৪ পরবর্তী যমুনা বহুমুখী সেতু নামকরণে ফেরত যাওয়া হয়। অতঃপর ২০২৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু সেতুর নাম পরিবর্তন করে যমুনা সেতু করে প্রজ্ঞাপন জারি করে সেতু বিভাগ।[১][২] যমুনা সেতু স্থাপনের জন্য প্রথম উদ্যোগ নেয়া হয় ১৯৪৯ সালে। ১৯৯৪ সালের ১৫ অক্টোবর এর কাজ শুরু হয় এবং ১৯৯৮ সালের ২৩ জুন যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। সেতুটির পাশেই যমুনা রেল সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ায় ২০২৫ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে যমুনা বহুমুখী সেতু রেলপথ দিয়ে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়।[৩][৪]
ভৌগলিক গুরুত্ব
এটি যমুনা নদীর পূর্ব তীরের ভূঞাপুর এবং পশ্চিম তীরের সিরাজগঞ্জকে সংযুক্ত করে। এটি বিশ্বে ১১শ এবং দক্ষিণ এশিয়ার ৬ষ্ঠ দীর্ঘতম সেতু।[৫][৬] যমুনা বাংলাদেশের প্রধান তিনটি নদীর মধ্যে বৃহত্তর এবং প্রবাহিত পানি আয়তানিক পরিমাপের দিক থেকে বিশ্বে পঞ্চম বৃহত্তম। সেতুটি বাংলাদেশের পূর্ব এবং পশ্চিম অংশের মধ্যে একটি কৌশলগত সংযোগ প্রতিষ্ঠিত করে। এটি অত্র অঞ্চলের জনগণের জন্য বহুবিধ সুবিধা বয়ে আনে, বিশেষত অভ্যন্তরীন পণ্য এবং যাত্রী পরিবহন ব্যবস্থা দ্রুত করে।[৭]
অর্থসংস্থান
হুন্দাই $৬৯৬ মিলিয়ন ইউ এস ডলারের বিনিময়ে ১৯৯৪ সালে বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মাণের কাজ হাতে নেয়; এতে মোট ব্যয়ভারের $২০০ মিলিয়ন ১% নামেমাত্র সুদে IDA, ADB, OECD বহন করে এবং বাকী $৯৬ মিলিয়ন বাংলাদেশ সরকার বহন করে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
সংস্থা
২০০৩ সালে সেতু কর্তৃপক্ষ যমুনা সেতুটি বুঝে নেয়। চুক্তি মোতাবেক ত্রুটির জন্য পরবর্তী ১০ বছর যমুনা সেতুর ত্রুটির সব ব্যয়ভার হুন্দাইকে বহন করতে হবে বলে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের আইন শাখার ২১ আগস্ট ২০০৭ তারিখের পত্রে উল্লেখ করা হয়। পরবর্তীতে সেতু সংস্কার কাজে চীনের চায়না কমিউনিকেশন কনস্ট্রাকশন কোম্পানি (সিসিসিসি) এবং ২০০৮ সালের মার্চে ফিলিপাইনের প্রতিষ্ঠাতা অ্যাঞ্জেল লাজারো অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস লিমিটেডকে ফাটল মেরামত কাজের টেন্ডার ডকুমেন্ট তৈরি ও মেরামত কাজ তদারকির পরামর্শক হিসাবে নিয়োগ করা হয়।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
স্থাপনা ত্রুটি
সেতুর মূল পরিকল্পনায় শুধু একমুখী (সিঙ্গেল ট্র্যাকশন, নন ইলেকট্রিক) মিটারগেজ ট্রেন চলার পরিকল্পনা ছিল। তবে পরে ব্রডগেজ লাইন চালুর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সে সময় ব্রডগেজ ও মিটারগেজ সিস্টেমের চারটি ট্রেন দৈনিক মাত্র ৮ বার চলাচল করার কথা ছিল। সেতুর ওপর স্থাপিত ট্রেন লাইনটির ব্রিজের পিলার স্থাপনা থেকে কিছুটা উত্তর দিকে। ২০০৮ সালে সেতুতে ফাটল দেখা দেয়। সেতু বিভাগ এবং দেশের বিশেষজ্ঞগণ ফাটলটিকে হেয়ার ক্র্যাক হিসাবে ধরেছিলেন। ফাটলের জন্য প্রথমে ট্রেন চলাচলকে দায়ী করা হলেও পরে তা মূল নির্মাণ ত্রুটির কারণে (পরিকল্পনা বাস্তবায়ন) সেতুতে ফাটল দেখা দিয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। এর কিছু দিন পরেই সেতুর ফাটল উত্তর লেন থেকে দক্ষিণ লেনেও ছড়িয়ে পড়ে। ব্রিজের মূল ভিত্তি থেকে সামান্য বাইরে ট্রেনলাইনের অবস্থান হওয়ায় এ ফাটল দেখা দিতে পারে বলে ধারণা করা হলেও পরিকল্পনাকারীগণ তা অস্বীকার করেছেন। ২০১১ সালের ডিসেম্বর মাসে দেখা যায় ২০০৮ সালে ফাটলের যে অবস্থা ছিল পরের দুই বছর পর তা অন্তত ৫০ শতাংশ বেড়েছে।তারপর যমুনা সেতুতে খুব ধীরগতিতে ট্রেন চালানো ও এক্সেল লোড নিয়ন্ত্রক দিয়ে যানের ভার ও গতি সীমাবদ্ধ করা হত।আর বর্তমানে এই সেতুতে ট্রেন চলাচল পুরোপুরি বন্ধ। নতুন রেলওয়ে সেতু দিয়ে ট্রেন চলাচল করছে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
টোল আদায়
সেতু নির্মাণে ব্যয় হয় ৩ হাজার ৭৪৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা। সেতু চালু হয় ১৯৯৮ সালের জুন মাসে। লক্ষমাত্রা ছিল সেতু নির্মাণের ২৫ বছরে বিনিয়োগের টাকা তুলে আনা হবে। তবে নির্ধারিত সময়ের ৭ বছর আগেই সেতুর নির্মাণ ব্যয় উঠে আসে। ২০২১-২২ অর্থ বছরের এপ্রিল পর্যন্ত সেতুতে টোল আদায় হয় ৭ হাজার ৭৪ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। অর্থাৎ ২৪ বছরে (২৮৭ মাস) ব্যয়ের চেয়ে ৩ হাজার ৩২৮ কোটি ৯৯ লাখ টাকা বেশি টোল আদায় হয়।[৮]
তথ্যসূত্র
- ↑ "বঙ্গবন্ধু সেতু ও বঙ্গবন্ধু টানেলের নাম পরিবর্তন"। দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড। ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। সংগ্রহের তারিখ ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫।
- ↑ "বঙ্গবন্ধু সেতু ও টানেলের নাম পরিবর্তন"। দৈনিক জনকণ্ঠ। ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫। সংগ্রহের তারিখ ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫।
- ↑ "দেশের দীর্ঘতম রেলসেতুতে উঠল যাত্রীবাহী ট্রেন"। মানবজমিন। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০২-১২।
- ↑ bdnews24.com। "যমুনা রেল সেতু দিয়ে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু"। যমুনা রেল সেতু দিয়ে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০২-১২।
- ↑ "যমুনা সেতু - বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য একটি উৎসাহ"। ওয়ার্ল্ড ব্যাংক। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৬-১৮।
- ↑ "বঙ্গবন্ধু বহুমুখী সেতু"। যোগাযোগ মন্ত্রণালয়। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ২০১৪-০৮-২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৬-১৮।
- ↑ "বঙ্গবন্ধু সেতু"। ডিসি টাঙ্গাইল। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-১৭।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "বঙ্গবন্ধু সেতুর নির্মাণ ব্যয় ৭ বছর আগেই উঠে আসে"। মানবজমিন। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-০৭-১৭।
বহিঃসংযোগ

- বঙ্গবন্ধু সেতু ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৪ জুলাই ২০২২ তারিখে
- বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ.
- এমএসএন ম্যাপ[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |