দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গ
দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গ পশ্চিমবঙ্গের একটি অঞ্চল। এটি ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা নিয়ে গঠিত।
শহর
[সম্পাদনা]
- 1 খড়্গপুর — রেলনগরী ও শিল্পনগরী, প্রাচীনতম ভারতীয় প্রযুক্তিবিদ্যা প্রতিষ্ঠানের (আইআইটি) অবস্থান।
- 2 চন্দ্রকোণা — মন্দিরের শহর, প্রয়াগ ফিল্ম সিটির অবস্থান।
- 3 ঝাড়গ্রাম — বনভূমি ও বন্ধুর স্থলের জন্য বিখ্যাত।
- 4 বেলপাহাড়ি — পাহাড়ের পাদদেশে একটি বনভূমি।
- 5 মেদিনীপুর — পশ্চিম মেদিনীপুরের সদর।
অন্যান্য গন্তব্য
[সম্পাদনা]অনুধাবন
[সম্পাদনা]দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গ পশ্চিমবঙ্গের একটি উদীয়মান শিক্ষা ও অর্থনৈতিক কেন্দ্র। বৃহত্তম শহর খড়্গপুর একটি রেল ও শিল্পনগরী। এখানে প্রাচীনতম ভারতীয় প্রযুক্তিবিদ্যা প্রতিষ্ঠান (আইআইটি) অবস্থিত।
ঐ সময়কালে তাম্রলিপ্ত সাম্রাজ্যের অংশ ছিল এই অঞ্চলের অনেকাংশ। ১০২১-১০২৩ খ্রিস্টাব্দে চোল রাজা রাজেন্দ্র চোলের আক্রমণের পর তাম্রলিপ্ত সাম্রাজ্যের পতন হয়। এরপর ১১৩৫ খ্রিস্টাব্দে রাজা অনন্ত বর্মণ মেদিনীপুরের (তৎকালীন মিধুনপুর) দখল নেন। খ্রিস্টীয় ১৩০০-১৫০০ শতাব্দীতে সারা বাংলায় মুসলিম সাম্রাজ্যের বিস্তার হলেও বিষ্ণুপুরের হিন্দু রাজা এবং জমিদারেরা মেদিনীপুরের সুবিশাল অংশে হিন্দু সাম্রাজ্য ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছিলেন। ১৫০০ শতাব্দীর শুরুতে মেদিনীপুর মুঘল সাম্রাজ্যের অধীনে চলে আসে। ১৬৮৭ খ্রিস্টাব্দে জব চার্নক মেদিনীপুরের হিজলিতে আসেন। ১৭০০ শতাব্দীর মধ্যান্তরে মারাঠারা একাধিক বার মেদিনীপুরে আক্রমণ ও লুঠতরাজ করে। ১৭৫২ খ্রিস্টাব্দে মেদিনীপুরের একাংশ মারাঠা সাম্রাজের অধীনে চলে যায়। এরপর ব্রিটিশ আমলে মেদিনীপুর একাধিক কৃষক বিদ্রোহ ও স্বাধীনতা সংগ্রামী আন্দোলনের সাক্ষী থেকেছে।
দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গ ও পূর্ব মেদিনীপুর একদা মেদিনীপুর জেলার অংশ ছিল, যা রাজনৈতিক আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু। এটি ছিল তরুণ স্বাধীনতা কর্মী ক্ষুদিরাম বসুর জন্মস্থান, যাকে ১৯০৮ সালে ফাঁসি দেওয়া হয়।
ভূগোল
[সম্পাদনা]দক্ষিণ-পশ্চিমবঙ্গের প্রাকৃতিক দৃশ্য বৈচিত্র্যময়। বাঁকুড়া থেকে বালেশ্বর পর্যন্ত রাস্তাটি অঞ্চল দুটিকে প্রাকৃতিক বিভাগে বিভক্ত করেছে। এই রাস্তার পূর্ব দিকে মাটি উর্বর পলি এবং এলাকা সমতল। পশ্চিমে, ছোট নাগপুর মালভূমি ধীরে ধীরে নিচের দিকে ঢালু হয়ে ল্যাটেরাইট শিলা এবং মাটির সাথে একটি অসাধারণ এলাকা তৈরি করে।
প্রবেশ
[সম্পাদনা]রেলপথে
[সম্পাদনা]খড়্গপুর এই অঞ্চলের প্রধান জংশন স্টেশন। ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুরের বিভিন্ন লোকাল ট্রেন এখান থেকে ছাড়ে।
ঘুরে দেখুন
[সম্পাদনা]দেখুন ও করুন
[সম্পাদনা]আহার ও পানীয়
[সম্পাদনা]সাবধানে থাকুন
[সম্পাদনা]দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গ জঙ্গলমহল অঞ্চলের অন্তর্গত, যা নকশাল-মাওবাদী আন্দোলনের জন্য একসময় বেশ পরিচিত ছিল। সুতরাং এই অঞ্চলে ভ্রমণের সময় বেশি রাতে হোটেল বা লজের বাইরে না থাকাই ভালো।