পূর্ব মেদিনীপুর



পূর্ব মেদিনীপুর পশ্চিমবঙ্গের একটি উপকূলীয় জেলা। ২০০৩ সাল পর্যন্ত এটি মেদিনীপুর জেলার অংশ ছিল, আর তখন এই জেলাকে দু-ভাগে ভাগ করা হয়েছিল: পশ্চিম ও পূর্ব মেদিনীপুর। পশ্চিম মেদিনীপুরের জন্য দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গ দেখুন।

মানচিত্র
পূর্ব মেদিনীপুরের মানচিত্র

  • 1 তমলুক (তাম্রলিপ্ত) জেলার সদর দপ্তর।
  • 2 কাঁথি জেলার সৈকতনগরীদের প্রবেশদ্বার।
  • 3 কোলাঘাট একটি জনপ্রিয় চড়াইভাতির কেন্দ্র।
  • 4 গেঁওখালি হুগলি, রূপনারায়ণ ও দামোদর নদীর সঙ্গমস্থল।
  • 5 দীঘা একটি জনপ্রিয় সৈকতনগরী।
  • 6 মন্দারমণি জেলার অপর সৈকতনগরী, দীঘার যমজ।
  • 7 মহিষাদল মহিষাদল রাজবাড়ির জন্য বিখ্যাত।
  • 8 হলদিয়া একটি উন্নয়নশীল বন্দরনগরী।

অনুধাবন

[সম্পাদনা]

পূর্ব মেদিনীপুর পশ্চিমবঙ্গের একটি অর্থনৈতিক ও পর্যটন কেন্দ্র। এখানে রয়েছে হলদিয়া বন্দর, যা একটি প্রধান সমুদ্রবন্দর। এটি কলকাতা বন্দরের সহায়ক হিসেবে কাজ করে।

ঐতিহাসিক মতে পূর্ব মেদিনীপুরের দাঁতন (তৎকালীন দন্দভুক্তি) এলাকায় রাজা শশাঙ্কের রাজত্বের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।

ব্রিটিশ আমলে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর রাজনৈতিক আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু ছিল। স্বাধীনতা কর্মী মাতঙ্গিনী হাজরা, যিনি "গান্ধীবুড়ি" নামে প্রসিদ্ধ, ১৯৪৩ সালে বন্দুকের গুলিতে নিহত হন। ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সময় "তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার" নামে তমলুকে একটি সমান্তরাল সরকার গঠিত হয়েছিল।

প্রবেশ

[সম্পাদনা]

রেলপথে

[সম্পাদনা]

তমলুকপাঁশকুড়া এই জেলার দুই জংশন স্টেশন।

গাড়িতে

[সম্পাদনা]

জাতীয় সড়ক ১৬ কোলাঘাট ও পাঁশকুড়া দিয়ে অতিক্রম করেছে। এনএইচ ১৬-এর একটি শাখা এনএইচ ১১৬ তমলুক ও হলদিয়ার উপর দিয়ে গিয়েছে। আবার, এর শাখা এনএইচ ১১৬বি কাঁথি ও দীঘার উপর দিয়ে গিয়েছে।

দেখুন ও করুন

[সম্পাদনা]

আহার ও পানীয়

[সম্পাদনা]

সাবধানে থাকুন

[সম্পাদনা]

পূর্ব মেদিনীপুর একাধিক ঘূর্ণিঝড়ে কবলিত হয়েছে, যেমন আয়লা (২০০৯) ও আম্ফান (২০২০)। এখানকার মুষলধারে বৃষ্টি ভয়ানক আকার ধারণ করে আর ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়া রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটে। সাম্প্রতিক আবহাওয়া সম্পর্কে অবহিত থাকুন আর এরকম প্রাকৃতিক দুর্ঘটনার বিরুদ্ধে মোকাবেলার ব্যবস্থা নিন।