পশ্চিম তিমুর
পশ্চিম তিমুর (তিমুর বরাত) হলো ইন্দোনেশিয়ার তিমুর দ্বীপের পশ্চিম অংশ, যা স্বাধীন দেশ পূর্ব তিমুরের সীমানার পাশে অবস্থিত। পশ্চিম তিমুর পূর্ব নুসা তেঙ্গারা প্রদেশের তিনটি প্রধান অংশের একটি। অন্য দুটি অংশ হলো ফ্লোরেস এবং সুম্বা দ্বীপ।
শহর
[সম্পাদনা]- 1 কুপাং – পূর্ব নুসা তেঙ্গারা প্রদেশের রাজধানী এবং তিমুর দ্বীপের পরিবহন কেন্দ্র।
- 2 সোই – দক্ষিণ-মধ্য তিমুর জেলার রাজধানী। পাহাড়ি এলাকায় অবস্থিত হওয়ায় এখানকার আবহাওয়া উপকূলীয় অঞ্চলের তুলনায় অনেক ঠাণ্ডা।
- 3 কেফামেনানু – উত্তর-মধ্য তিমুর জেলার রাজধানী। এই জেলা তিমুর দ্বীপের মাঝামাঝি অংশে অবস্থিত। এখানে অনেক আকর্ষণীয় স্থান রয়েছে, যেমন ঐতিহ্যবাহী তামকেসি গ্রাম, টাওলিন রাজপ্রাসাদ এবং কিছু প্রাকৃতিক গুহা। এখানকার মানুষ তাদের সংস্কৃতি খুব সুন্দরভাবে সংরক্ষণ করেছে, যা পর্যটকদের একটি আগ্রহের বিষয়। রাজধানী হওয়ায় কেফামেনানুতে হোটেল, ভ্রমণ পরিষেবা, হাসপাতাল এবং একটি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে।
- 4 আটামবুয়া – পূর্ব তিমুর সীমান্তের কাছে অবস্থিত একটি শহর।
অন্যান্য গন্তব্য
[সম্পাদনা]জানুন
[সম্পাদনা]পশ্চিম তিমুরের বিভিন্ন অঞ্চলে বিভিন্ন ভাষায় কথা বলা হয়। যার মধ্যে অন্যতম হলো দাবান ভাষা।
স্বাধীন পূর্ব তিমুরের মতো পশ্চিম তিমুরেও প্রধান ধর্ম হলো রোমান ক্যাথলিক ধর্ম।
কীভাবে যাবেন
[সম্পাদনা]বিমানে করে
[সম্পাদনা]
পূর্ব নুসা তেঙ্গারা প্রদেশের রাজধানী কুপাংয়ের এল তারি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে জাকার্তা, সুরাবায়া এবং ডেনপাসারসহ ইন্দোনেশিয়ার বড় বড় শহরে নিয়মিত উড্ডয়ন চালু রয়েছে। এছাড়াও প্রদেশের বিভিন্ন গন্তব্য যেমন লাবুয়ান বাজো, এন্ডে, মাওমেরে (ফ্লোরেস দ্বীপ) এবং ওয়াইঙ্গাপুতে (সুম্বা দ্বীপ) নিয়মিত উড্ডয়নের ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়া এয়ার তিমুর সংস্থার মাধ্যমে দিলিতে (পূর্ব তিমুরের রাজধানী) আন্তর্জাতিক উড্ডয়নও পাওয়া যায়।
বাসে করে
[সম্পাদনা]২০১৭ সাল থেকে পূর্ব তিমুর থেকে কুপাংয়ে সরাসরি বিমান পরিষেবা চালু রয়েছে। তবে এখনো অনেক মানুষ বাসে করে দিলি থেকে কুপাং যাতায়াত করেন এবং এতে প্রায় ১২ ঘণ্টা সময় লাগে। প্রায় ৩০ আসনবিশিষ্ট 'জেমিলাং' নামের একটি ছোট বাস দিলি (পূর্ব তিমুর) থেকে আটামবুয়া পর্যন্ত যাত্রী পরিবহন করে। যাত্রীদের সরাসরি বাড়ি থেকে তুলে গন্তব্যে পৌঁছে দেয়া হয়।
নৌকায় করে
[সম্পাদনা]পিটি. পেলনি পরিচালিত জাতীয় দীর্ঘপথের যাত্রীবাহী জাহাজগুলো সপ্তাহে একবার কুপাংয়ের পশ্চিমে অবস্থিত তেনাউ বন্দরে আসে। পিটি. পেলনির জাহাজগুলো তেনাউ বন্দরকে নুসা তেঙ্গারা, মালুকু এবং পাপুয়া অঞ্চলের অন্যান্য বন্দরের সাথে সংযুক্ত করে।
আশেপাশে দেখুন
[সম্পাদনা]দেখুন
[সম্পাদনা]করুন
[সম্পাদনা]আহার
[সম্পাদনা]পশ্চিম তিমুরের বেশিরভাগ মানুষ রোমান ক্যাথলিক হওয়ায় এখানে শূকরের মাংস জনপ্রিয় এবং অধিকাংশ খাবারের দোকানই হালাল নয়।
- জাগুং বোস: ভুট্টার গুঁড়ো দিয়ে তৈরি এক ধরনের খিচুড়ি, যার সঙ্গে লাল শিম ও চিনাবাদাম মেশানো হয়। এটি সাধারণত শূকরের মাংস বা শুকনো মাছের সঙ্গে খাওয়া হয়। চালের বিকল্প হিসাবেও এটি ব্যবহৃত হয়।
- সিই বাবি: ধোঁয়াটে শূকরের মাংস। এখানে "বাবি" শব্দের অর্থ শূকরের মাংস।
পানীয়
[সম্পাদনা]নিরাপদ থাকুন
[সম্পাদনা]পরবর্তী গন্তব্য
[সম্পাদনা]{{#মূল্যায়ন:অঞ্চল|রূপরেখা}}