নরসিংদী



নরসিংদী বাংলাদেশের ঢাকা বিভাগ এর একটি জেলা শহর। মেঘনা, শীতলক্ষ্যা, আড়িয়াল খাঁ ও পুরাতন ব্রক্ষ্মপুত্র নদীর তীর বিধৌত জেলা নরসিংদী। জেলাটির আয়তন ১,১১৪.২০ বর্গ কি.মি.। এ জেলার উত্তরে কিশোরগঞ্জ, পূর্বে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, দক্ষিণে নারায়ণগঞ্জব্রাহ্মণবাড়িয়া এবং পশ্চিমে গাজীপুর অবস্থিত।

কীভাবে যাবেন?

[সম্পাদনা]

স্থলপথে

[সম্পাদনা]

এই জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা খুবই ভাল। ঢাকা সিলেট মহাসড়ক বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কগুলোর একটি যা নরসিংদীর উপর দিয়ে গেছে। এটি ঢাকা থেকে মাত্র এক ঘণ্টার দূরত্বে অবস্থিত। ঢাকা চট্টগ্রাম ও ঢাকা সিলেট, দেশের দুই সবচেয়ে ব্যস্ততম রেলপথও নরসিংদী দিয়ে গেছে। তাই সহজেই নরসিংদী আসা যায়। ন্যাশনাল এক্সপ্রেস (এসি বাস) মনোহরদী পরিবহন, আন্না সুপার সার্ভিস এবং স্বপ্নবিলাস বাস সার্ভিস সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে আর PPL, চলনবিল পরিবহন, আরব পরিবহন, বাদশা পরিবহন মহাখালী থেকে ছাড়ে। এছাড়া বিআরটিসির এসি বাস ছাড়ে তাদের মতিঝিল ডিপো থেকে আর ননএসি বাস ছাড়ে গুলিস্থান, আরামবাগ আর মহাখালী থেকে। অন্যদিকে রেলপথে কিশোরগঞ্জ গামী কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস এবং চট্টগ্রাম গামী কর্ণফুলী এক্সপ্রেস ও মহানগর ট্রেনে করে ঢাকার কমলাপুর স্টেশন থেকে নরসিংদী আসা যায়।

জলপথে

[সম্পাদনা]

অনেকগুলো নদী থাকায় জলপথে যাতায়াত করা যায়।

দেখুন

[সম্পাদনা]
  • নরসিংদী জাদুঘর, নরসিংদী জেলা সদর (শিল্পকলা একাডেমি ভবনের পার্শ্বে)। ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা নরসিংদীর বিভিন্ন থানার ভাষাসৈনিক, বুদ্ধিজীবী, শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্থিরচিত্র থেকে শুরু করে হস্তশিল্প, কারুশিল্প, নরসিংদীর মুক্তিযুদ্ধের চাক্ষুস নকশা, বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানের চিত্র, মৃৎশিল্প, কৃষিযন্ত্রাংশ, লোহা-কাঁসার যন্ত্রাংশ, প্রাচীনকালের ধাতবমুদ্রা ইত্যাদি রয়েছে। বিনামূল্য
  • শ্রী শ্রী চিনিশপুর কালীবাড়ী: নরসিংদীতে অবস্থিত হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম পূণ্যতীর্থ ক্ষেত্র। পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের শাখা হাড়িধোয়া নদীর দক্ষিণ তীরে সদর থানার চিনিশপুর গ্রামে অবস্থিত এ মন্দির ছায়া সুনিবিড় নির্জন পরিবেশে গড়ে উঠেছে। কালীবাড়ীর মূল আকর্ষণ হচ্ছে প্রায় এক একর জমির উপর বেড়ে উঠা বিশালাকার বট বৃক্ষ। একসময় কালীবাড়ীর অদূরেই নীল কুঠি ছিল। বর্তমানে নীল কুঠির ভাঙ্গা ভিটা ও পরিত্যক্ত ইঁদারা ছাড়া আর কিছুই অবশিষ্ট নেই। নীলকর জেমস ওয়াইজের দেওয়ান রামকৃষ্ণ রায় বর্তমান মন্দিরটি নির্মাণ করে দেন।
প্রাত্যহিক অনুষ্ঠানমালায় সকাল, দুপুর ও সন্ধ্যায় পূজা-অর্চনা, ভোগের ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়াও, ভক্তদের অনুষ্ঠান হিসেবে অন্নপ্রাসন, সেবার আয়োজন করা হয়। বার্ষিক অনুষ্ঠানের মধ্যে বৈশাখ ও জ্যৈষ্ঠ মাসের ১ম অমাবস্যায় কালীপূজা অনুষ্ঠিত হয়। এ উপলক্ষ্যে তিথি অনুসারে এক অথবা দুইদিনব্যাপী বিরাট মেলার আসর বসে।