কেন্দুবিল্ব
কেন্দুবিল্ব বা জয়দেব কেন্দুলি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বীরভূম জেলার একটি মন্দির শহর। এটি ১২শ শতকের সংস্কৃত কবি জয়দেবের জন্মস্থান বলে বিশ্বাস করা হয় এবং এখানে একটি পুরনো মন্দির রয়েছে। জয়দেব তার গীতিকবিতা গীতগোবিন্দের জন্য বিখ্যাত। মকর সংক্রান্তির (জানুয়ারির মাঝামাঝি) সময় এখানে একটি মেলা অনুষ্ঠিত হয়। এটি অজয় নদীর তীরে অবস্থিত।
জানুন
[সম্পাদনা]কিংবদন্তীদের মতে, মকর সংক্রান্তিতে জয়দেব গঙ্গায় স্নান করতে না পেরে অত্যন্ত হতাশ ও দুঃখিত হন। স্বপ্নে তিনি দেখেন দেবী গঙ্গা তার বাড়ির পাশ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছেন। তিনি একটি জোয়ারের সময় পদ্ম ফুল দেখতে পান, যা গঙ্গার প্রবাহের প্রতীক। পরের দিন, জয়দেব অজয় নদীর ঘাটে একটি পদ্ম ভাসতে দেখেন। সেই থেকে জয়দেবের নামে বার্ষিক মেলার জন্য কেন্দুলি জনপ্রিয় স্থান হয়ে ওঠে।
ওড়িশার কিছু জায়গাও কবি জয়দেবের জন্মস্থান হিসেবে দাবি করা হয়।
কীভাবে যাবেন
[সম্পাদনা]- নিকটবর্তী রেলস্টেশনগুলো হলো দুর্গাপুর (হাওড়া-দিল্লি রেলপথ) এবং দুবরাজপুর (অণ্ডাল-সাঁইথিয়া শাখা রেলপথ)।
- এটি দুবরাজপুর-ইলামবাজার সড়ক থেকে ৭ কিলোমিটার দূরে। ইলামবাজার পানাঘরহ-শান্তিনিকেতন মহাসড়কে অবস্থিত।
- দুর্গাপুর, শান্তিনিকেতন বা বোলপুর থেকে গাড়ি/ট্যাক্সি ভাড়া করে কেন্দুলি যাওয়া সবচেয়ে ভালো।
ঘুরে দেখুন
[সম্পাদনা]পায়ে হেঁটে বা নিকটবর্তী শহর থেকে পরিবহন ব্যবহার করুন।
দেখুন
[সম্পাদনা]- চমৎকার কারুকার্যযুক্ত মন্দির দেখুন। বর্ধমান রাজপরিবার ১৬৮৩ সালে রাধাবিনোদ মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করেন। এটি একটি নবরত্ন মন্দির, যার দেয়ালে দুর্দান্ত টেরাকোটা শিল্পকর্ম রয়েছে।
করুন
[সম্পাদনা]- মকর সংক্রান্তি মেলা (জানুয়ারির মাঝামাঝি) পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম বৃহৎ গ্রামীণ মেলা। এই মেলা বাউল গায়কদের অংশগ্রহণের জন্য বিখ্যাত।
কিনুন
[সম্পাদনা]মেলায় অনেক কিছু কেনার সুযোগ থাকে, তবে অন্য সময় কিছু পাওয়া যায় না।
আহার
[সম্পাদনা]সাধারণত চা ও হালকা খাবার পাওয়া যায়। তবে মেলার সময় অনেক খাবারের দোকান বসে।
পানীয়
[সম্পাদনা]মদ জাতীয় কোনো পানীয় পাওয়া যায় না।
রাত্রিযাপন
[সম্পাদনা]এখানে কোনো হোটেল নেই। মেলার সময় গ্রামের লোকেরা ঘর ভাড়া দেয়।
পরবর্তী গন্তব্য
[সম্পাদনা]{{#মূল্যায়ন:শহর|রূপরেখা}}