কামারপুকুর ও জয়রামবাটি

কামারপুকুর এবং জয়রামবাটি হলো পশ্চিমবঙ্গের দুটি গ্রাম। এই দুটি গ্রামের মধ্যে দূরত্ব ৭.৭ কিমি। কামারপুকুর হুগলি জেলার সীমানায় অবস্থিত। আর জয়রামবাটির অবস্থান হলো বাঁকুড়া জেলায়। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষ এই গ্রামগুলিতে আসেন আধ্যাত্মিকতার টানে।
জানুন
[সম্পাদনা]কামারপুকুর গ্রামটি শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসের জন্মস্থান হিসেবে বেশি পরিচিত। গ্রামটি একসময় বিস্তৃত মাঠ দিয়ে ঘেরা ছিল। কৃষি ছাড়াও কুটির শিল্পের জন্যও গ্রামটিট উল্লেখযোগ্য ছিল। কামারপুকুরের সর্বত্র প্রাচীন সমৃদ্ধির নিদর্শন এখনও দেখা যায়। বেশ কয়েকটি পুকুর, দীঘি, পুরানো ভবন এবং প্রাচীন মন্দির এখনও এর পুরানো গৌরবের সাক্ষ্য বহন করে। সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ গ্রামের শান্ত পরিবেশে শান্তিতে বসবাস করেন।
জয়রামবাটি গ্রামটি শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংসের সহধর্মিণী সারদা দেবীর জন্মস্থান হিসাবে পরিচিত। মূলত সারদা দেবীর আবির্ভাবের পরে এই গ্রামটি সমৃদ্ধির লক্ষণ দেখাতে শুরু করে।
প্রবেশ
[সম্পাদনা]আকাশপথে
[সম্পাদনা]নিকটতম বিমানবন্দর হলো কলকাতার নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (CCU আইএটিএ), যা ভারতের সমস্ত শহর এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক শহরের সঙ্গে আকাশপথে সংযুক্ত। বিমানবন্দর থেকে কামারপুকুরের দূরত্ব প্রায় ৯৫ কিলোমিটার।
রেলপথে
[সম্পাদনা]কামারপুকুরে একটি রেলওয়ে স্টেশন থাকলেও তা এখনও চালু হয়নি। নিকটতম চালু রেলওয়ে স্টেশন হলো 1 গোঘাট রেলওয়ে স্টেশন। এই স্টেশনটির দূরত্ব কামারপুকুর থেকে ৭ কিমি। মাত্র কয়েকটি লোকাল ট্রেন হাওড়া থেকে গোঘাট স্টেশনের মধ্যে চলাচল করে। ট্রেন যোগে হাওড়া থেকে আরামবাগ এবং তারকেশ্বর রেলওয়ে স্টেশন হয়েও কামারপুকুর আসা যায়।
বিষ্ণুপুর পর্যন্ত ট্রেন এসেও কামারপুকুরে আসা যায়। সেক্ষেত্রে আরামবাগ হয়ে কামারপুকুর এবং জয়রামবাটি পৌঁছানোর জন্য ২ নং রাজ্য সড়ক (পশ্চিমবঙ্গ) ধরতে হবে।
সড়কপথে
[সম্পাদনা]কামারপুকুর থেকে পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য গন্তব্যে বাস পাওয়া যায়।
- 1 কামারপুকুর বাস স্ট্যান্ড।
ঘুরে দেখুন
[সম্পাদনা]দেখুন
[সম্পাদনা]বাকি পশ্চিমবঙ্গের মতো, টোটো (বৈদ্যুতিক রিকশা) সহ গ্রামের আশেপাশে যাওয়ার জন্য রিকশা পরিষেবা রয়েছে।
কামারপুকুর
[সম্পাদনা]- 2 শ্রীরামকৃষ্ণের জন্মস্থান। এই এলাকায় শ্রী রামকৃষ্ণের শৈশব কাটানো কুঁড়েঘর, তাঁকে উৎসর্গীকৃত একটি মন্দির এবং যুগীদের শিব মন্দির নামে একটি শিব মন্দির রয়েছে। পূর্ব দিকে মুখ করে শিব মন্দিরের দেয়ালে টেরাকোটার কাজ দেখতে পাওয়া যায়।
- 3 হালদারপুকুর।
- 4 রামকৃষ্ণ মঠ।
- 5 গড় মান্দারণ। একটি ঐতিহাসিক দুর্গ সহ এটি একটি জনপ্রিয় পিকনিক স্থল। দুর্গটি ওড়িশার গজপতি কপিলেন্দ্র দেবের নিয়ন্ত্রণে ছিল কিন্তু পরে বাংলার অধিকারে আসে। এখানে যোদ্ধা শাহ ইসমাইল গাজীর সমাধিও রয়েছে। কামারপুকুর থেকে এর দূরত্ব মাত্র ২ কিলোমিটার।
জয়রামবাটি
[সম্পাদনা]- 6 শ্রীশ্রী মাতৃমন্দির। মন্দিরটি সারদা দেবীর জন্মস্থানে নির্মিত হয়। সারদা দেবীর জন্ম যে স্থানে হয়েছিল সারদা দেবীর মূর্তি সেই স্থানে প্রতিষ্ঠিত।
- 7 মায়ের দীঘি। কথিত আছে, সারদা দেবী বাল্যকালে এই জলাশয়ে গরুর জন্য আহার সংগ্রহ করতেন। দর্শনার্থীরা এই দীঘিকে প্রবিত্র মনে করেন। গ্রামের লোকেরা এখানে স্নান করেন।
করুন
[সম্পাদনা]উৎসব
[সম্পাদনা]কিনুন
[সম্পাদনা]আহার
[সম্পাদনা]রাত্রিযাপন
[সম্পাদনা]যদিও রামকৃষ্ণ মিশন দ্বারা চালিত যাত্রীনিবাস (ভ্রমণকারীদের লজ) থাকার জন্য একটি আদর্শ জায়গা হিসাবে বিবেচিত হয়, তবে কামারপুকুর এবং জয়রামবাটির আশেপাশে বেশ কয়েকটি হোটেল এবং লজও রয়েছে। এগুলি প্রতিটি ভিন্ন স্বাদের।
- 1 কামারপুকুর রামকৃষ্ণ মঠ যাত্রীনিবাস।