উত্তর সুদান
উত্তর সুদান মূলত সুদানের তিনটি রাজ্য উত্তর, লৌহিত সাগর এবং নাইল নদী নিয়ে গঠিত।
শহর
[সম্পাদনা]- 1 আটবারা — একটি প্রধান শহর, যা সুদানের পূর্ব ও মধ্যাঞ্চলকে উত্তরের সঙ্গে সংযুক্তকারী রাস্তা এবং ট্রেনের সংযোগস্থলের জন্য সুপরিচিত।
- 2 ডাঙ্গলা — উত্তর (আল-শেমালিয়া) রাজ্যের রাজধানী। এখানকার প্রধান অর্থনৈতিক উৎস হলো কৃষিকাজ; নাইল নদীর উভয় পাড়ে বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি ও ফলমূল উৎপন্ন হয়।
- 3 আদ-দামির
- 4 মেরওয়ে
- 5 পোর্ট সুদান
- 6 শেন্ডি — একটি ঐতিহাসিক শহর, যেখানে আল জালিন গোষ্ঠী বাস করে।
- 7 সাকিন — উত্তর-পূর্ব সুদানের একটি বন্দর, যা লৌহিত সাগরের পশ্চিম তীরে অবস্থিত।
- 8 বাদি হালফা
অন্যান্য গন্তব্য
[সম্পাদনা]- 1 কেরমা — প্রাচীন কেরমা সভ্যতার রাজধানী, যার ইতিহাস অন্তত ৫৫০০ বছরের পুরনো। এটি প্রাচীন নুবিয়ার বৃহত্তম প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানগুলোর একটি এবং এখানে একটি বড় জাদুঘর রয়েছে।
- 2 মেরওয়ে — এখানে ২০০-এরও বেশি নুবীয় পিরামিড রয়েছে। এটি একটি ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান।
- 3 মুসাওয়ারাত — খ্রিস্টপূর্ব ৩য় শতাব্দীর প্রথম মেরোইটিক যুগের একটি বড় মন্দির কমপ্লেক্স।
- 4 নাকা — প্রাচীন কুশ সাম্রাজ্যের ধ্বংসাবশেষপূর্ণ একটি শহর, যা এখন ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান।
- 5 ওল্ড ডাঙ্গলা — একটি পরিত্যক্ত মধ্যযুগীয় শহর, যেখানে অনেক ধ্বংসাবশেষ রয়েছে।
- 6 সেডিঙ্গা — খ্রিস্টপূর্ব ১ শতকের আশেপাশে নির্মিত অন্তত ৮০টি ছোট পিরামিডের একটি গুচ্ছ।
- 7 সাবু-জেড্ডি — ১৬০০-এরও বেশি শিলাচিত্রের একটি গুচ্ছ, যেখানে নুবীয় সভ্যতার বিভিন্ন যুগের শিলাচিত্র রয়েছে এবং যা ৬০০০ বছরেরও বেশি সময় পূর্বে আঁকা হয়েছে।
- হালাইব ট্রায়াঙ্গল — এটি উত্তরের একটি এলাকা, যা সুদান ও মিশরের মধ্যে বিরোধপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে। যেহেতু এটি মূলত মিশরের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, তাই এটিকে মিশরের লৌহিত সাগর উপকূলের অংশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এটি কেবলমাত্র ভ্রমণকারীদের সহায়তার জন্য উল্লেখ করা হয়েছে, যা কোনো দেশের দাবি সমর্থন বা অস্বীকার করে না।

জানুন
[সম্পাদনা]এটি মূলত একটি আরব মুসলিম অধ্যুষিত এলাকা।
কীভাবে যাবেন
[সম্পাদনা]আকাশপথে
[সম্পাদনা]উত্তর সুদানের একমাত্র প্রধান বিমানবন্দরটি পোর্ট সুদানে অবস্থিত। এর বাইরে সবচেয়ে কাছাকাছি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটি হলো রাজধানী খারতুমে ।
সড়কপথে
[সম্পাদনা]আল-শেমালিয়া রাজ্যে একটি দীর্ঘ মহাসড়ক রয়েছে, যা রাজধানী খারতুমকে শেন্ডি, আটবারা এবং পোর্ট সুদানের সাথে সংযুক্ত করে। পোর্ট সুদান হলো দেশের তৃতীয় বৃহত্তম শহর।
রেলপথে
[সম্পাদনা]রাজধানী খারতুম থেকে আটবারা পর্যন্ত নির্ভরযোগ্য ট্রেন সংযোগ রয়েছে। এই পথে প্রতিদিন নাইল এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচল করে। অন্যান্য পথ যেমন বাদি হালফা ফেরিঘাট সংযোগকারী ট্রেন অনিয়মিত সময়সূচিতে চলাচল করে।
ফেরিতে
[সম্পাদনা]মিশর থেকে সুদানে প্রবেশের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য উপায় হলো আশওয়ান থেকে বাদি হালফা পর্যন্ত সাপ্তাহিক ফেরি। এটি সোমবার সুদানে যায় এবং বুধবার ফিরে আসে। ভাড়া জনপ্রতি ৩৩ মার্কিন ডলার। নৌকাগুলো পুরনো ও ভীড়পূর্ণ হলেও যাত্রাপথে মনোমুগ্ধকর দৃশ্য (যেমন আবু সিমবেল) উপভোগ করা যায়। ফেরিতে খাবার ও পানীয় পাওয়া যায়। সৌদি আরব থেকেও পোর্ট সুদানে নিয়মিত ফেরি চলাচল করে।
আশেপাশে দেখুন
[সম্পাদনা]দেখুন
[সম্পাদনা]
এই অঞ্চলটি নুবা ও মেরওয়ে সভ্যতার অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক স্থানের আবাসস্থল। মেরওয়ে, মুসাওয়ারাত এবং নাকা এলাকাগুলোতে চমৎকার মেরোইটিক মন্দির, পিরামিড এবং প্রাসাদ দেখা যায়।
উত্তর সুদানের লৌহিত সাগর উপকূলে দুটি জাতীয় উদ্যান রয়েছে — সাঙ্গানেব মেরিন জাতীয় উদ্যান এবং ডাংগোনাব বে মুক্কার দ্বীপ মেরিন জাতীয় উদ্যান। এগুলো একত্রে একটি ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান গঠন করেছে।
করুন
[সম্পাদনা]আহার
[সম্পাদনা]পানীয়
[সম্পাদনা]নিরাপদ থাকুন
[সম্পাদনা]পরবর্তী গন্তব্য
[সম্পাদনা]{{#মূল্যায়ন:অঞ্চল|রূপরেখা}}