এভিয়ারী ও ইকো-পার্ক, রাঙ্গুনিয়া, চট্টগ্রাম | |
---|---|
![]() | |
অবস্থান | দক্ষিণ নিশ্চিন্তাপুর, হোসনাবাদ ইউনিয়ন, রাঙ্গুনিয়া, চট্টগ্রাম |
স্থানাঙ্ক | ২২°২৯′৩৭″ উত্তর ৯২°০৭′১৬″ পূর্ব / ২২.৪৯৩৫৩৮৪° উত্তর ৯২.১২১০৪৪° পূর্ব |
আয়তন | ৪.২০ হেক্টর (১০.৪ একর) |
স্থাপিত | ৭ আগস্ট ২০১০ |
নামকরণ | শেখ রাসেল |
এভিয়ারী ও ইকো-পার্ক, রাঙ্গুনিয়া, চট্টগ্রাম (পূর্বনাম: শেখ রাসেল পক্ষিশালা ও ইকোপার্ক) বাংলাদেশের চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় অবস্থিত পক্ষিশালা ও ইকোপার্ক।[১] বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতা শেখ মুজিবুর রহমানের সর্বকনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের নামে নামকরণ করা হয়েছিল। ২০২৫ সালের মে মাসে এর নাম থেকে শেখ রাসেল বাদ দেওয়া হয়।[২][৩][৪]
ইতিহাস ও বিবরণ
[সম্পাদনা]২০১০ সালের ৭ আগস্ট শেখ রাসেল এভিয়ারি ও ইকোপার্কের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। ২০১৩ সালের ১৩ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পার্কটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। প্রকল্পটির তৃতীয় সংশোধনী ২০২৫ সালে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে উপস্থাপন করা হয় এবং এর জন্য ৪০ কোটি ৪ লাখ ৩১ হাজার টাকা বরাদ্দ রাখা হয়।[৫][৬]
পাখি ও জীববৈচিত্র্য
[সম্পাদনা]এই পার্কে প্রায় ২০০টি বিলুপ্তপ্রায় ও বিরল প্রজাতির দেশি পাখি সংরক্ষিত রয়েছে। উল্লেখযোগ্য প্রজাতির মধ্যে রয়েছে বাবুই, দোয়েল, শ্যামা, শালিক, ঈগল, শকুন, বুলবুলি, পেঁচা, হলদে পাখি, টুনটুনি, টিয়া, ঘুঘু, মাছরাঙা ও সাদা বক। এছাড়া আফ্রিকার পলিক্যান, সোয়ান, রিং ন্যাক, ইলেকট্রাস প্যারট এবং ম্যাকাওসহ বিভিন্ন বিদেশি পাখিও সংরক্ষিত হয়েছে।[৫][৭]
পাখির সংরক্ষণ ছাড়াও পার্কটিকে পরিবেশবান্ধব ও পর্যটনবান্ধব করে তুলতে বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে পাখির উপযোগী বাগান, পর্যটকদের জন্য রেস্টহাউস, ঝুলন্ত সেতু, আধুনিক রেস্তোরাঁ, লেক, হেলানো বেঞ্চ, ওয়াচ টাওয়ার এবং শিশুদের জন্য বিনোদনের ব্যবস্থা। পার্কের চারপাশে বিশেষ ধরণের জাল দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে যাতে পাখিরা নিরাপদে বিচরণ করতে পারে।
পার্কে প্রায় ৭১ হাজার ভেষজ ও অন্যান্য গাছ এবং ৩০ হাজার সৌন্দর্যবর্ধক গাছ রোপণ করা হয়েছে। এছাড়াও হরিণ বিচরণক্ষেত্র ও কুমির প্রজনন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য প্রাণিজগৎ বিষয়ে গবেষণার সুযোগও রাখা হয়েছে।[৫][৩]
ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য
[সম্পাদনা]পার্কে সংযোজন করা ক্যাবল কারটি পার্কের আকর্ষণ বৃদ্ধি করেছে। এটি ভূমি থেকে প্রায় ২০০ ফুট উচ্চতায় প্রায় আড়াই কিলোমিটার দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে, যা এক পাহাড় থেকে অন্য পাহাড়ে যাওয়ার সুযোগ দেয়। ওপরের দিকে বিস্তৃত নীল আকাশ ও নিচের দিকে লেক ও সবুজ বন পার্কটির প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে বাড়িয়ে তোলে।[৫][৭]
অবস্থান ও যোগাযোগ
[সম্পাদনা]এটি বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার রাঙ্গুনিয়া উপজেলার কোদালা বন বিটের হোসনাবাদ ইউনিয়নের দক্ষিণ নিশ্চিন্তাপুর এলাকায় অবস্থিত। চট্টগ্রাম নগরীর বহদ্দারহাট বাস টার্মিনাল থেকে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়ক ধরে বাসযোগে প্রায় এক ঘণ্টায় পৌঁছানো যায়।[৪]
পার্কটি ৫২০ একর জায়গা জুড়ে বিস্তৃত। ২০১৩ সালের ১৩ নভেম্বর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টেলি কনফারেন্সের মাধ্যমে এটির উদ্বোধন করেন, যার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয় ২০১০ সালের ৭ আগস্ট।[১][৮]
চিত্রশালা
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ "পাখির অভয়ারণ্য হবে শেখ রাসেল ইকোপার্ক"।
- ↑ "নতুন নামে ২০ প্রকল্প: বাদ যাচ্ছে শেখ পরিবার ও আওয়ামী লীগ নেতা"। দৈনিক যুগান্তর। ৩ মে ২০২৫। সংগ্রহের তারিখ ২ জুন ২০২৫।
- ↑ ক খ "Wayback Machine" (পিডিএফ)। bforest.portal.gov.bd। ২০২৪-০৬-০৭ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৬-০৭।
- ↑ ক খ "শেখ রাসেল এভ্যিয়ারি পার্ক"। rangunia.chittagong.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৬-০৭।
- ↑ ক খ গ ঘ Pratidin, Bangladesh (২০১৫-০৮-১১)। "পাখির অভয়ারণ্য হবে শেখ রাসেল ইকোপার্ক"। bd-pratidin.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৬-০৭।
- ↑ "বিশ্বমানের পর্যটনে রূপ দিতে রাঙ্গুনিয়া রাসেল ইকোপার্কে ১২৫ কোটি ৫১ লাখ টাকা বরাদ্দ"। DailyInqilabOnline (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৬-০৭।
- ↑ ক খ প্রতিনিধি, রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) (২০১৮-০১-১৪)। "শেখ রাসেল এভিয়ারি ইকোপার্ক বিশ্বমানের পর্যটন কেন্দ্র হচ্ছে"। দৈনিক যুগান্তর। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৬-০৭।
- ↑ "বিভাগীয় বন কর্মকর্তার কার্যালয়, চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগ"। সরকারি তথ্য বাতায়ন। ২০২২-০৬-১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৬-০৭।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]