সেবক



সেবক ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দার্জিলিং পাহাড়ের একটি ছোট শহর।
জানুন
[সম্পাদনা]সেবক ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দার্জিলিং জেলার শিলিগুড়ির কাছে একটি ছোটো শহর। এটি সিকিম রাজ্যের সীমান্তের কাছেকাছি অবস্থিত। ডুয়ার্সে তিস্তা নদীর তীরে এই শহরটি অবস্থিত। এখানে তিস্তা নদীর উপর দুটি সেতু রয়েছে। একটি করোনেশন ব্রিজ এবং অপরটি সেবক রেলওয়ে সেতু। মহানন্দা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য এই এলাকায় অবস্থিত। ১০ নং জাতীয় সড়ক এই শহরের মধ্য দিয়ে চলে গিয়েছে। রাস্তাটি সেবককে গ্যাংটক শহর ও শিলিগুড়ির সাথে যুক্ত করেছে। অন্যদিকে ১৭ নং জাতীয় সড়ক সেবকের করোনেশন ব্রিজের কাছে থেকে শুরু হয়ে আসামের গুয়াহাটিতে শেষ হয়েছে।
প্রবেশ
[সম্পাদনা]আকাশপথে
[সম্পাদনা]নিকটতম বিমানবন্দর হলো বাগডোগরা বিমানবন্দর, যা ভারতের কলকাতার নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (CCU আইএটিএ)-এর সঙ্গে আকাশপথে সংযুক্ত। বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে সেবকের দূরত্ব প্রায় ৩৩ কিলোমিটার। শিলিগুড়ি থেকে ১৬ কিলোমিটার দূরে বাগডোগরা বিমানবন্দর অবস্থিত।
রেলপথে
[সম্পাদনা]- 1 সেবক রেলওয়ে স্টেশন।
সড়কপথে
[সম্পাদনা]ঘুরে দেখুন
[সম্পাদনা]দেখুন
[সম্পাদনা]- 2 করোনেশন সেতু (বাঘপুল)। করোনেশন সেতু তিস্তা নদীর উপর নির্মিত। এটি দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলা দুটিকে সংযুক্ত করেছে। সেতুটি ১৭ নং জাতীয় সড়কের (পুরানো - জাতীয় সড়ক ৩১) একটি অংশ। এই সেতুটি সেবক রেলওয়ে সেতুর সমান্তরালে বিস্তৃত। ১৯৩৭ সালে বাংলার তৎকালীন গভর্নর জন অ্যান্ডারসন সেতুটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। সেতুর নির্মাণ কাজে ১৯৪১ সালে ৬ লক্ষ টাকা ব্যয় হয়। এটির নামকরণ ১৯৩৭ সালে রাজা ষষ্ঠ জর্জ ও রাণী এলিজাবেথের রাজ্যাভিষেকের স্মরণে করা হয়েছিল। সেতুটির এক দিকের প্রবেশপথে দুটি বাঘের মূর্তি থাকায় স্থানীয়রা সেতুটিকে বাঘপুল বলে থাকেন। এই সেতুটির নকশা ও পরিকল্পনা দার্জিলিং ডিভিশন পাবলিক ওয়ার্কস ডিপার্টমেন্টের শেষ ব্রিটিশ এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার জন চেম্বারস করেন।
- 3 সেবকেশ্বরী কালী মন্দির (সেবকেশ্বরী মাকালী)। ১৯৫২ সালে স্বপ্নাদেশ পেয়ে তৈরি হয়েছিল এই মন্দির। এখানে পূজিত হন দক্ষিণা কালী। সেবক পাহাড় কেটে এই মন্দির তৈরি হয়।
- 4 মহানন্দা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য, ☎ +৯১ ৮৩৩৭০ ৬৬৮৮২, ইমেইল: [email protected]।
প্রতিদিন সকাল ৬.০০ – বিকেল ৪.৩০ (মঙ্গলবার বন্ধ)। এই অভয়ারণ্যটি হিমালয়ের পাদদেশে তিস্তা এবং মহানন্দা নদীর মাঝখানে অবস্থিত। ১৯৪৯ সালে এটি অভয়ারণ্য হিসেবে প্রথম সরকারিভাবে ঘোষিত হয়। এর মোট আয়তন ১২৭ বর্গকিমি। সমগ্র বনাঞ্চলের শতকরা ৬০ ভাগ পার্বত্যভূমি এবং অবশিষ্ট অংশ সমতল। এই অভয়ারণ্যের উচ্চতা ১৫০ মিটার থেকে ১৩০০ মিটার পর্যন্ত। এখানে এশীয় হাতি, দেশি বন শুকর, সম্বর হরিণ, চিতাবাঘ, পাহাড়ি কালো ভাল্লুক ও বিভিন্ন ধরণের পাখি দেখতে পাওয়া যায়।
- 5 সেবক রেল সেতু। মহানন্দা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের কাছে তিস্তা নদীর উপর নির্মিত রেল সেতু। রেল সেতুটি প্রায় ১ কিলোমিটার দীর্ঘ। এটি রেলপথের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং জেলাকে কালিম্পং জেলা ও জলপাইগুড়ি জেলার সঙ্গে সংযুক্ত করে।
করুন
[সম্পাদনা]পিকনিক
[সম্পাদনা]জানুয়ারি মাসে সেবকের তিস্তার চরে পিকনিকের এক আলাদা মজা! শিলিগুড়ি, মালবাজার দু’দিক থেকেই একের পর এক দল গাড়ির নিয়ে সেবকের তিস্তার চরে পিকনিক করতে আসে। এই সময় মানুষের সমাগমে ভরে যায় সেবকের তিস্তার চর।
রাত্রিযাপন
[সম্পাদনা]- 1 হোটেল নিউ সিকিম, সেবক বাজার, সেবক, পশ্চিমবঙ্গ, পিন ৭৩৪০০৫।
- 2 পশ্চিমবঙ্গ বন উন্নয়ন কর্পোরেশন রেস্ট হাউস।