মিসরাতা
মিসরাতা[অকার্যকর বহিঃসংযোগ] (আরবি: مصراتة, মিসরাতা) উত্তর-পশ্চিম লিবিয়ার একটি শহর এবং লিবিয়ার তৃতীয় সর্বাধিক জনবহুল শহর।
বুঝুন
[সম্পাদনা]মিসরাতার উত্তরে ও পূর্বে রয়েছে সমুদ্র। মিসরাতার দক্ষিণে রয়েছে সোনালি বালুকাভূমি, যা খেজুর ও জলপাই গাছ দিয়ে ছেয়ে আছে।
মিসরাতা শহরটি দুটি ভাগে বিভক্ত। পুরনো মিসরাতা ছোট ছোট পাথরের ঘর এবং সরু খিলানবিশিষ্ট রাস্তা নিয়ে গঠিত। নতুন শহরটি ২০শ শতকে বিকাশ লাভ করে। নবগঠিত মিসরাতায় আধুনিক ভবন, বাড়ি, কারখানা এবং শিল্প এলাকা রয়েছে।
এই শহরটিকে "লিবিয়ার তুর্কি বংশোদ্ভূত সম্প্রদায়ের প্রধান কেন্দ্র" হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ২০১৯ সালের একটি হিসেব অনুযায়ী মিসরাতাইয় বসবাসরত ৪ লাখ বাসিন্দার দুই-তৃতীয়াংশই তুর্কি বংশোদ্ভূত।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]মিসরাতা শহরের ইতিহাস দীর্ঘ ও সমৃদ্ধ। ভূমধ্যসাগরের তীরে এবং সাহারার কাছাকাছি অবস্থানের কারণে এই শহরটি বহু সভ্যতা ও সাম্রাজ্যের জন্য একটি কৌশলগত ও বাণিজ্যিক কেন্দ্র ছিল।
খ্রিস্টপূর্ব সপ্তম শতকে ফিনিশীয়রা এখানে একটি বাণিজ্যিক কেন্দ্র গড়ে তোলে, যা পরে থুবাক্টিস নামক শহরে রূপান্তরিত হয়। থুবাক্টিস ছিল ত্রিপোলিটানিয়ার ছয়টি স্ব-শাসিত শহরের একটি। থুবাক্টিস শহর স্বর্ণ, চামড়া ও দাস বাণিজ্যের মাধ্যমে সমৃদ্ধ হয়।
১৫৫০-এর দশকে অটোমান সাম্রাজ্য ত্রিপোলিটানিয়াসহ মিসরাতা দখল করে নেয়। অটোমান শাসনে এখানে সীমিত শহুরে সম্প্রসারণ ঘটে। তবে অটোমান সাম্রাজ্য মিসরাতা দখলের পরও শহরটি সাহারা-অতিক্রমী বাণিজ্যপথের একটি কাফেলা সরবরাহ কেন্দ্র হিসেবে তার ভূমিকা বজায় রাখে।
প্রবেশ
[সম্পাদনা]- আরও দেখুন: লিবিয়া#প্রবেশ
লিবিয়ায় ভ্রমণের জন্য আপনার ভিসা (যদি আপনার প্রয়োজন হয়) এবং একটি বৈধ পাসপোর্ট প্রয়োজন হবে। দেশে প্রবেশ ও লিবিয়ান ইমিগ্রেশন সংক্রান্ত আরও তথ্য লিবিয়া পাতায় পাওয়া যাবে।
বিমানপথে
[সম্পাদনা]মিসরাতায় আফ্রিকিয়াহ এয়ারওয়েজের ফ্লাইটের মাধ্যমে ইস্তানবুল, জেদ্দা, সাফাক্স এবং তিউনিস থেকে মিসরাতায় আসা যায়। লিবিয়ান এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটের মাধ্যমেও তিউনিস থেকে মিসরাতায় আসা যায়।
- 1 মিসরাতা বিমানবন্দর (MRA আইএটিএ)।
ফেরি পথে
[সম্পাদনা]২০২৪ সাল অনুযায়ী "কেভালায় কুইন" নামক একটি ফেরি প্রতি সপ্তাহে একবার তুরস্কের ইস্তানবুল ও মিসরাতা শহরের মধ্যে চলাচল করে।
- 2 মিসরাতা বন্দর।
ঘুরে দেখুন
[সম্পাদনা]দর্শনীয় স্থান
[সম্পাদনা]- 1 রাইদাত মসজিদ।
করুন
[সম্পাদনা]কিনুন
[সম্পাদনা]খাবার
[সম্পাদনা]পানীয়
[সম্পাদনা]ঘুম
[সম্পাদনা]নিরাপদ থাকুন
[সম্পাদনা]মিসরাতা লিবিয়ার অন্যতম নিরাপদ শহর হিসেবে বিবেচিত হয়।
যোগাযোগ
[সম্পাদনা]পরবর্তী গন্তব্য
[সম্পাদনা]{{#মূল্যায়ন:শহর|রূপরেখা}}