মানিকগঞ্জ



মানিকগঞ্জ বাংলাদেশের ঢাকা বিভাগ এর একটি উল্লেখযোগ্য শহর।

কীভাবে যাবেন?

[সম্পাদনা]

স্থলপথে

[সম্পাদনা]

ঢাকা থেকে মানিকগঞ্জে সাধারনত সড়ক পথেই যাতায়েত করা হয়ে থাকে। ঢাকা থেকে মানিকগঞ্জে যে সব বাস চলাচল করে তার মধ্যে উ্ল্লেখযোগ্য হল: মানিকগঞ্জ এক্সপ্রেস, পাটুরিয়া এক্সপ্রেস, বিলাসী পরিবহন, আনন্দ পরিবহন, সোহাগ পরিবহন। তাছাড়া খুলনা,ফরিদপুর রুটে যে সব বাস চলাচল করে তার অধিকাংশই মানিকগঞ্জের যাত্রী নিয়ে থাকে।

দর্শনীয় স্থান

[সম্পাদনা]
বালিয়াটি প্রাসাদ
  1. মানিকগঞ্জ জেলার আরিচা ঘাট এই এলাকার অন্যতম দর্শনীয় স্থান। যমুনা সেতুর আগে এই ঘাট দিয়েই যানবাহন পারাপার করা হতো। বেউথা ঘাট কালিগঙ্গা নদীর তীর।
  2. তেওতা জমিদার বাড়ি শিবালয়: মানিকগঞ্জ উপজেলাধীন শিবালয় উপজেলার তেওতা জমিদার বাড়িটি বাবু হেমশংকর রায় চৌধুরী, বাবু জয় শঙ্কর রায় চৌধুরী পিং দুই সহোদর ভ্রাতার নিজ বসতবাড়ী ছিল। তেওতা অবস্থান করে তারা জমিদারি পরিচালনা করতেন।
  • 1 বালিয়াটি জমিদার বাড়ি (বালিয়াটি প্রাসাদ), সাটুরিয়া গ্রীষ্মকালীন: সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ০৬টা, শীতকালীন: সকাল ০৯টা থেকে বিকেল ০৫টা বালিয়াটি জমিদার বাড়ি প্রায় ১৬,৫৫৪ বর্গমিটার জমির উপর ছড়িয়ে থাকা ৭টি দক্ষিণমুখী দালানের সমাবেশ। এখানে রয়েছে পূর্ব বাড়ি, পশ্চিম বাড়ি, উত্তর বাড়ি, মধ্য বাড়ি এবং গোলা বাড়ি নামের বড় আকারের পাঁচটি ভবন। জমিদারবাড়ির এই বিভিন্ন অংশ বালিয়াটি জমিদার পরিবারের উত্তরাধিকারীরাই তৈরি করেন। সামনের ৪টি প্রাসাদ ব্যবহার হত ব্যবসায়িক কাজে। এই প্রাসাদের পেছনের প্রাসাদকে বলা হয় "অন্দর মহল" যেখানে তারা বসবাস করতেন। প্রাসাদটি ২০ একরের চেয়ে বেশি স্থান জুড়ে অবস্থিত হলেও মূল প্রাসাদসংলগ্ন পাঁচটি অংশ আলাদাভাবে নির্মাণ করা হয়েছিল। পূর্ব দিকের একটি অংশ পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেলেও বাকি চারটি টিকে আছে এখনো যার মধ্যে মাঝের ২টি ব্লকের একটি দ্বিতল বিশিষ্ট এবং আরেকটি টানা বারান্দা বিশিষ্ট তিনতলা ভবন। মূল ভবনগুলোর সামনের দেয়ালজুড়ে নানা রকম কারুকাজ আর মূর্তি চোখে পড়ে। উত্তরদিকে কিছুদূরে অবস্থিত পরিত্যক্ত ভবনটি হল বহির্মহল যা কাঠের কারুকার্য সম্পন্ন। ভবনগুলোর পেছনের দিকে আছে বড় একটি পুকুর। শানবাঁধানো ছয়টি ঘাট আছে পুকুরের চারপাশে। এই ভবনে প্রাসাদের চাকর-বাকর, গাড়ি রাখার গ্যারেজ, ঘোড়াশাল ছিল বলে ধারণা করা হয়। প্রাসাদটির চারপাশ সুউচ্চ দেয়াল দ্বারা পরিবেষ্টিত। এর ৩টি প্রবেশপথ আছে। যার প্রত্যেকটিতে অর্ধবৃত্তাকার খিলান আকৃতির সিংহ খোদাই করা তোরণ রয়েছে। বালিয়াটি জমিদারবাড়ির ঘিরে তৈরি করা প্রাচীন আমলের সেই প্রাচীর এখনো টিকে আছে। এ চার দেয়ালের মাঝে এখন রয়েছে চারটি সুদৃশ্য ভবন। দেশি দর্শনার্থী ২০ টাকা, সার্কভুক্ত দর্শনার্থী ১০০ টাকা এবং বিদেশি দর্শনার্থী ২০০ টাকা উইকিপিডিয়ায় বালিয়াটি প্রাসাদ (Q13058948)