পাণ্ডুয়া (হুগলি)


পান্ডুয়া ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের হুগলি জেলার একটি শহর।
জানুন
[সম্পাদনা]পাণ্ডুয়া শহরটি প্রাচীনকালে প্রদ্যুম্ন নগর নামে পরিচিত ছিল। পাণ্ডুয়া হুগলি অন্যতম প্রাচীন জনপদ ও বাণিজ্যকেন্দ্র। কিংবদন্তি অনুসারে পান্ডু বা পান্ডুদাস হিন্দু রাজার নাম থেকে পাণ্ডুয়ার উৎপত্তি। সমুদ্রতল থেকে এর গড় উচ্চতা হল ১৯ মিটার (৬২ ফুট)। পাণ্ডুয়ার মেলাপাড়ায় রয়েছে প্রাচীন মসজিদের ধ্বংসাবশেষ ও সুউচ্চ মিনার।
প্রবেশ
[সম্পাদনা]আকাশপথে
[সম্পাদনা]নিকটতম বিমানবন্দর হলো কলকাতার নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর (CCU আইএটিএ), যা ভারতের সমস্ত শহর এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক শহরের সঙ্গে আকাশপথে সংযুক্ত। বিমানবন্দর থেকে পাণ্ডুয়ার দূরত্ব প্রায় ৭০ কিলোমিটার।
রেলপথে
[সম্পাদনা]হাওড়া স্টেশন থেকে মেন লাইন হাওড়া-বর্ধমান লোকালে চেপে পৌঁছনো যায় পাণ্ডুয়া স্টেশনে। এছাড়া হাওড়া-পাণ্ডুয়া লোকালও আছে। পাণ্ডুয়া রেলওয়ে স্টেশন থেকে অটো বা টোটোয় চেপে আসতে হবে মেলাতলা। সেখানেই দেখতে পাবেন মসজিদের ধ্বংসাবশেষ এবং মিনার।
- 1 পাণ্ডুয়া রেলওয়ে স্টেশন।
সড়কপথে
[সম্পাদনা]কলকাতা থেকে দিল্লি রোড ধরেও পাণ্ডুয়ায় আসা যায়। দূরত্ব মোটামুটি ৭০ কিলোমিটার।
ঘুরে দেখুন
[সম্পাদনা]দেখুন
[সম্পাদনা]- 2 পাণ্ডুয়া মিনার। অনুমান করা হয় যে, ফকির শাহ সুফিউদ্দিন দিল্লির সুলতানের সহায়তায় পাণ্ডুয়ার হিন্দু রাজাকে পরাস্ত করে বিজয় স্মারক হিসেবে এটি নির্মাণ করান। এই মিনারটি পাঁচ তলা বিশিষ্ট। মিনারটি ভূমিকম্পে একবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়ল। পরবর্তীকালে তা সংস্কারও করা হয়। পাঁচ তলা এই মিনারের প্রথম তলার ব্যাস ৬০ ফুট, সবচেয়ে উপরের তলার মিনারটির ব্যাস ১৫ ফুট। ভিতরে দিয়ে উঠেছে পাক দেওয়া সিঁড়ি। বেশ কয়েক বছর হল মিনারের কাছে যাওয়ারও অনুমতি দেওয়া হয় না।
- 3 বড়ী মসজিদ (পাণ্ডুয়ার মসজিদ)। এই মসজিদটি আনুমানিক খ্রীস্টীয় ১৩০০ শতকে নির্মিত। বাংলার বিশিষ্ট ইষ্টকশৈলীর নিদর্শন এই বড়ী মসজিদ। আয়তক্ষেত্রাকার মসজিদটি ৭০.৪ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ১২.০৮ মিটার প্রস্থ বিশিষ্ট একটি উঁচু ইমারত। এতে তিনটি বারান্দা এবং সম্মুখে ২১টি এবং পার্শ্বে ৩টি দরওয়াজা আছে। ছত্রশোভিত বেদী এই মসজিদটির একটি আকর্ষণীয় অঙ্গ। মসজিদগাত্রে এখনও টেরাকোটার নকশার অবশিষ্টাংশ বেশ ভালভাবেই দেখা যায়। মসজিদের মধ্যবর্তী অংশে রয়েছে কালো ব্যাসল্ট পাথরের একটি সিংহাসন।
রাত্রিযাপন
[সম্পাদনা]- 1 ইটাচুনা রাজবাড়ি (বর্গী ডাঙ্গা)। এই প্রাসাদটি বর্তমানে ঐতিহ্যবাহী পান্থনিবাসে (হোটেল) রূপান্তরিত হয়েছে। এখান থেকে পাণ্ডুয়া মিনারের দূরত্ব প্রায় ৭ কিলোমিটার।