এই নির্দেশনায় উইকিভ্রমণের প্রতিটি মানক নিবন্ধের পরিচ্ছেদগুলো কিভাবে গঠিত হয়, এবং প্রতিটি অংশে কি ধরনের তথ্য থাকা উচিত, তা স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। আপনার মনে যদি কোনো নির্দিষ্ট তথ্য থাকে এবং ভাবেন সেটা কোথায় যুক্ত করবেন, তাহলে এই নির্দেশনায় দেখে নিতে পারেন ঠিক কোন অংশে তা উপযুক্ত হবে। আবার যদি আপনার হাতে কোনো নির্দিষ্ট ধরনের নিবন্ধ থাকে এবং জানতে চান সেই নিবন্ধে কোন কোন পরিচ্ছেদ থাকা উচিত, সেক্ষেত্রে নিবন্ধ কাঠামো টেমপ্লেট ব্যবহার করুন। প্রতিটি টেমপ্লেটে সংশ্লিষ্ট বিষয় অনুযায়ী বিস্তারিত দিকনির্দেশনাও দেওয়া রয়েছে, যা আপনার লেখাকে হবে আরও সুসংগঠিত ও তথ্যবহুল।

ভূমিকাংশ

[সম্পাদনা]

ভূমিকাংশের আলাদা কোনো শিরোনাম থাকে না। এটি সেই অংশ, যা পাতার একদম শুরুতে থাকে এবং প্রথম পরিচ্ছেদের (যেমন: অনুধাবন) আগ পর্যন্ত চলে। এই অংশের মূল লক্ষ্য হলো পাঠকের আগ্রহ জাগানো এবং পুরো নিবন্ধে কি ধরনের তথ্য থাকছে, সে সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত ও স্পষ্ট ধারণা দেওয়া।

গন্তব্যভিত্তিক পাতাগুলোর ক্ষেত্রে এখানে গন্তব্যটির একটি সংক্ষিপ্ত পরিচিতি দিন, যেন পাঠক সহজেই বুঝতে পারেন এটি কোন স্থান এবং কিভাবে তা গুরুত্বপূর্ণ। চেষ্টা করুন ভৌগোলিক শ্রেণিবিন্যাসে একধাপ উপরের পর্যায়ের কোনো জায়গায় লিংক যুক্ত করতে — যেমন, কোনো জেলার জন্য দেশের নাম, অথবা শহরের জন্য প্রদেশ বা পরিচ্ছেদের লিংক। স্থানটির আনুমানিক সীমা বা পরিসীমা উল্লেখ করলে পাঠকের প্রেক্ষাপট বুঝতে সুবিধা হয়। চাইলে কিছু ছোট আকর্ষণীয় তথ্যও এখানে যোগ করতে পারেন, তবে ইতিহাস, সংস্কৃতি বা গভীর বিশ্লেষণমূলক তথ্য ‘অনুধাবন’ অংশে রাখা উত্তম।

অনেক সার্চ ইঞ্জিনের ফলাফলে ভূমিকাংশের লেখাগুলোই নিবন্ধের শিরোনামের নিচে প্রদর্শন করে।

সংক্ষিপ্ত:
WV:জনসংখ্যা

যদি আপনার পাতা কোনো শহর বা গ্রামের ওপর ভিত্তি করে হয়, তাহলে জনসংখ্যার তথ্য এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে। এটি ভ্রমণকারীদের জন্য উপকারী, কারণ জনসংখ্যা দেখে তারা ওই স্থানে কি ধরনের সুবিধা বা পরিবেশ আশা করতে পারেন, সে বিষয়ে ধারণা পান। উইকিভ্রমণে সাধারণত জনসংখ্যা ৫০০-র বেশি হলে সংখ্যাটি দুটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্কে রাউন্ড করে দেখানো হয়—যেমন: "২০২৪ সালে ৩.৪ মিলিয়ন" বলা হয় "২০২৪ সালে ৩,৩৫৭,৮৯০"-এর বদলে, অথবা "২০২২ সালে ৮৪০০" বলা হয় "২০২২ সালে ৮৪০৯" এর বদলে। (সবসময় তথ্যের তারিখ উল্লেখ করুন, যাতে পরে এটি হালনাগাদ করা সহজ হয়।)

অঞ্চল

[সম্পাদনা]

এই পরিচ্ছেদটি মূলত মহাদেশ, দেশ বা বড় আকারের অঞ্চলের নিবন্ধে ব্যবহারের জন্য প্রযোজ্য। তবে এটি বাধ্যতামূলক নয় — কেবল তখনই যুক্ত করুন, যখন সেই গন্তব্যকে আরও ছোট উপ-অঞ্চলে ভাগ করার বাস্তব প্রয়োজন ও উপযুক্ততা থাকে।

প্রায় সব দেশ বা বৃহৎ এলাকাকেই কয়েকটি স্বতন্ত্র অঞ্চলে ভাগ করা সম্ভব এবং তা করলে ভ্রমণকারীদের জন্য তথ্য অনুসন্ধান সহজ হয়। এই অংশে সেই ধরনের উপ-অঞ্চলের তালিকা দেওয়া হয়, যেগুলোর প্রত্যেকটির জন্য আলাদা নিবন্ধ থাকতে পারে এবং যেখানে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়। অনেক ক্ষেত্রে অঞ্চলগুলো আবারও ছোট ছোট উপ-অঞ্চলে বিভক্ত হতে পারে।

বিভাজনের সময় স্থানীয়ভাবে প্রচলিত বা ভ্রমণসংক্রান্তভাবে গ্রহণযোগ্য অঞ্চল কাঠামো অনুসরণ করার চেষ্টা করুন। ভৌগোলিক শ্রেণিবিন্যাস পাতায় এ বিষয়ে নির্দেশনা রয়েছে। প্রতিটি অঞ্চলের নামের সঙ্গে একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ এবং নিবন্ধের লিংক দিন, যেন পাঠক সহজেই বুঝতে পারেন অঞ্চলটি কি নিয়ে এবং কিভাবে তা সংশ্লিষ্ট।

যদি কোনো দেশে অঞ্চলগুলো নির্দিষ্ট নামে পরিচিত হয় (যেমন “জেলা”, “রাজ্য”, “প্রদেশ”, “ক্যান্টন” ইত্যাদি), তাহলে “অঞ্চল” শিরোনামের পরিবর্তে সেই উপযুক্ত নামটি ব্যবহার করতে পারেন — যেমন “জেলাসমূহ” বা “রাজ্যসমূহ”। তবে খেয়াল রাখবেন, প্রশাসনিক বিভাজন সবসময় কার্যকর ভ্রমণসংক্রান্ত বিভাজনের সঙ্গে মিল নাও খেতে পারে।

প্রতিটি অঞ্চলের বিবরণ এক-লাইনারের তালিকা অনুযায়ী ১ থেকে ৫ বাক্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখুন, যাতে তালিকাটি সংক্ষিপ্ত, কার্যকর এবং দ্রুতপাঠ্য থাকে।

দেশ এবং অঞ্চল

[সম্পাদনা]

এই পরিচ্ছেদ শুধুমাত্র মহাদেশ ও মহাদেশভিত্তিক উপ-অঞ্চলের (মহাদেশীয় অংশ) নিবন্ধে ব্যবহার করা হয়। উপ-অঞ্চলভিত্তিক পাতাগুলোর জন্য এটি আবশ্যক। তবে মনে রাখবেন, প্রতিটি মহাদেশের ভৌগোলিক ও সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য আলাদা, তাই কোন দেশ বা অঞ্চল এখানে যুক্ত করা হবে, তা বেছে নিতে বাস্তব বিবেচনা এবং যুক্তিসঙ্গত সিদ্ধান্ত গ্রহণ জরুরি।

এই পরিচ্ছেদ কেবল দেশ ও অঞ্চলভিত্তিক নিবন্ধে ব্যবহার করা হয়। যদি কোনো নির্দিষ্ট অঞ্চলে উল্লেখযোগ্য জনবসতিপূর্ণ এলাকা না থাকে, তাহলে এই অংশটি প্রয়োজন হয় না। কিন্তু যদি উল্লেখযোগ্য শহর বা জনপদ থাকে, তাহলে “শহর” পরিচ্ছেদ থাকা আবশ্যক।

কিছু দেশ বা অঞ্চল এতটাই ছোট যে মাত্র কয়েকটি শহর নিয়ে গঠিত। এ অবস্থায় “অঞ্চল” বিভাজনের দরকার হয় না—এই অংশেই গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোর তালিকা দিন। তবে সব শহরের নাম একসাথে দিয়ে বিশাল তালিকা বানানো থেকে বিরত থাকুন। বরং সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য (ভ্রমণ উপযোগী) শহরগুলো বেছে নিয়ে, বর্ণানুক্রমে সর্বোচ্চ নয়টি পর্যন্ত শহরের নাম অন্তর্ভুক্ত করুন। যদি এটি কোনো দেশের নিবন্ধ হয়, অথবা এমন একটি অঞ্চল যা প্রশাসনিকভাবে স্পষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত (যেমন: যুক্তরাষ্ট্রের একটি রাজ্য), তাহলে সংশ্লিষ্ট রাজধানী শহরটি অবশ্যই তালিকার শুরুতে রাখুন।

কিছু ছোট অঞ্চল বা পার্বত্য অঞ্চল (যেমন অ্যাডিরনড্যাকস)-এর ক্ষেত্রে নয়টির বেশি ছোট গ্রাম বা জনবসতি উল্লেখ করার প্রয়োজন হতে পারে। এমন অবস্থায় তালিকাটিকে কার্যকর রাখতে একই পাতায় “শহর” পরিচ্ছেদটি ভৌগোলিকভাবে উপবিভক্ত করা যেতে পারে — এতে নতুন পাতার দরকার পড়ে না, কিন্তু পাঠক সহজে তালিকাটি পড়তে পারেন।

প্রতিটি শহরের জন্য এক-লাইনারের তালিকা অনুযায়ী ১ থেকে ৫ লাইনের একটি সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দিন। উচ্চ স্তরের অঞ্চলের ক্ষেত্রে (যেমন: একটি দেশের শহরের তালিকা) বর্ণনাটি আরও সংক্ষিপ্ত হওয়া উচিত।

একটি অঞ্চল যদি একেবারেই বিভাজনযোগ্য না হয় এবং সব শহরের নাম দেওয়াই যুক্তিযুক্ত হয়, তাহলে ব্যতিক্রম হিসেবে পুরো তালিকা দেওয়া যায়। তবে কোনো প্রতিষ্ঠিত তালিকায় পরিবর্তন আনার আগে অবশ্যই সম্প্রদায়ের ঐক্যমত্য নেওয়ার চেষ্টা করুন। অনেক সময় শহরের তালিকা নিয়ে মতভেদ হতে পারে—বিশেষ করে দেশের বা মহাদেশের স্তরে—কারণ "সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নয়টি শহর" নির্ধারণ করার নিরপেক্ষ পদ্ধতি সবসময় সহজ নয়। আমরা আগেই যথাসম্ভব বিবেচনা করে এই তালিকাগুলো তৈরি করে রেখেছি, তাই বারবার পরিবর্তন ও যুক্তি-তর্ক এড়িয়ে চলাই ভালো।